'হাতে টাকা আর গুন্ডা থাকলেই...' পদে না থেকেও অনুব্রতের এত রোয়াব কেন? বুঝিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ

Last Updated:

Dilip Ghosh On Anubrata Mondal: সাহসী কণ্ঠে আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ। তবে তা অভিমানে ঢাকা, না কি রাজনীতির নিঃশব্দ বার্তা—তা সময়ই বলবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর হোক কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের, কোথাও যেন ডাকা হচ্ছে না তাঁকে। নিজেই সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর হোক কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের, কোথাও যেন ডাকা হচ্ছে না তাঁকে। নিজেই সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফর। তাঁর আগমনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তুঙ্গে উত্তেজনা। তবে ঠিক এই সময়েই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ যেন একরাশ অভিমান বুকে চেপে শনিবার সকালে পৌঁছালেন নিউটাউনের ইকোপার্কে—প্রাতঃভ্রমণে।

‘মোদী এলেন, ডাকা হল না’—ফের অভিমানী দিলীপ ঘোষ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর হোক কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের, কোথাও যেন ডাকা হচ্ছে না তাঁকে। নিজেই সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
advertisement
দিলীপের আক্ষেপ—

“বড় নেতারা যদি না ডাকেন, আমি যাই না। ওরা যাদের ডাকেন, তারাই যান। আমার যাওয়ার দরকার হয় না। যদি কোনও দায়িত্ব থাকে, ডাকলেই আমি সেটা পালন করি।”

আরও পড়ুন- বর্ষায় বাড়িতে ঢুকবে না একটাও সাপ! ৫ সহজ ‘উপায়’ জানুন…লেজ তুলে পালাবে বিষধর সরীসৃপ! 

বিয়ের রাত কাটতেই ঘুম ভাঙল নববধূর, সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে স্বামীকে ডাকলেন, ‘সবাই কী ভাববে…!’ ভিডিও দেখলে চমকাবেন

কথার মধ্যেই যেন লুকিয়ে রইল ক্ষোভের সুর। ওয়েস্টিন হোটেল থেকে তাঁর বাড়ি মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে হলেও, এখন আর সেখানে যাওয়া হয় না।
advertisement

“আগে যেতাম, তখন রাজ্য সভাপতি ছিলাম। উনি এলে স্বাগত জানাতাম, পাশে থাকতাম। এখন অন্যরা সেই দায়িত্বে আছেন। আমি এখন কর্মীদের সঙ্গে থাকি।”

“নেতার পিছনে ঘোরার একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে” 

দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল—এই অবহেলা কি তাঁকে অভিমানী করে তোলে?
জবাবে তিনি বলেন—

“কিসের অভিমান? এখন একটা কালচার তৈরি হয়েছে—নেতার পিছনে পিছনে ১০০-২০০ লোক ঘুরে বেড়ায়। নেতা দেখেও না। কিছু কাজও করে না। বিজেপির নিজস্ব ডিসিপ্লিন আছে। কোথায় কে যাবে তা দল ঠিক করে। আমি সেটাই মানি।”

advertisement

কেষ্ট প্রসঙ্গে কটাক্ষ—“এতো অধঃপতন বাংলার আগে কখনও দেখিনি”

শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন—

“দশ বছর ধরে ওঁর ভাষা শুনছি। এবার সৌভাগ্য হল, দলের কর্মীদের সঙ্গেও উনি কীভাবে কথা বলেন, তা শুনলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার এমন কিছু নেতা, যারা বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে।”

এরপরেই সরাসরি আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসকে—
advertisement

“একটা পার্টি যার অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত। কেউ জেলে, কেউ ফিরেছে, কেউ যেতে তৈরি। এমন পতন আগে কখনও দেখিনি। মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে, মুক্তি চাইছে।”

“পদে না থেকেও অনুব্রতের এত রোয়াব কেন?”

দিলীপের জবাব পরিষ্কার—

“ওঁর কাছে টাকা কামানোর সব সোর্স আছে। তৃণমূলে কে কোন পদে আছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কার হাতে টাকা আর গুন্ডা আছে, সেটাই আসল। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী না হয়েও ৫০০ কোটি টাকার মালিক হওয়া একমাত্র তৃণমূলেই সম্ভব।”

advertisement

আপনিও কি এমন ভাষা ব্যবহার করতেন না?

দিলীপের দাবি—

“আমি কখনও ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। মজা করতাম। ডিসিপ্লিনের বাইরে যাইনি। কেউ অকারণে কিছু বললে, তার প্রতিবাদ করার অধিকার আমার আছে।”

সাহসী কণ্ঠে আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ। তবে তা অভিমানে ঢাকা, না কি রাজনীতির নিঃশব্দ বার্তা—তা সময়ই বলবে।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
'হাতে টাকা আর গুন্ডা থাকলেই...' পদে না থেকেও অনুব্রতের এত রোয়াব কেন? বুঝিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement