Partha Arpita: সম্পর্কে আছি, সম্পত্তিতে নেই! নিজের জালেই আটকে পার্থর জামিন! মানতে নারাজ অর্পিতাও
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Partha Arpita: ইডি অভিযোগ করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কাজ করত। গোয়া এবং থাইল্যান্ডে অর্পিতার সঙ্গে স্নেহময় দত্তকে পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা: পার্থ-অর্পিতা সম্পর্কেই ঝুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন ভাগ্য। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ইডি-র আইনজীবী জানান, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক ব্যক্তিকে দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কিছু হলে শিশুটির দায়িত্ব তিনি নেবেন। সেটা ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক। ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু থেকে কাকুতে পরিণত হয়েছিলেন পার্থ।
ইডি আরও অভিযোগ করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কাজ করত। গোয়া এবং থাইল্যান্ডে অর্পিতার সঙ্গে স্নেহময় দত্তকে পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই দুজনের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল আমি জানি না, কিন্তু স্নেহময় দত্তর বক্তব্য পুরোটাই আদালতের সামনে রাখলাম। এখান থেকেই তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল সেটা স্পষ্ট হয়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কিংপিন। আমরা বলছি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষে এই দুর্নীতির রানি। স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে এটা প্রথম হয়েছে যে ৫৪ কোটি টাকার তাদের নয় বলে দুজন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। দুজনেই বলছে এটা আমার নয়, অপরজনের।
advertisement
advertisement
এরপরই ইডির কাছে বিচারপতি জানতে চান, এই মামলায় কতজন সাক্ষী আছে? ইডি জানায়, ১৬৫ জন। তা শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শেষ হওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই? ইডির আইনজীবী বলেন, আমরা বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে প্রত্যেকদিন নিম্ন আদালতে শুনানি করতে প্রস্তুত।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ কোনটি? এত সহজ প্রশ্ন, অথচ ৯৯%-ই জানেন না উত্তর! আপনি জানেন?
ইডি আদালতে জানায়, পিংলার একটি স্কুল প্রতীকীভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্কুলটি একটি ট্রাস্টের নামে আছে, অনেক ডিরেক্টর আছে। কেউ এই বাজেয়াপ্ত করার বিরুদ্ধে মামলা করেনি। একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় করেছেন। যদি তার সম্পত্তি না হয়, তাহলে তিনি মামলা করলেন কেন? এই স্কুলের অন্যতম ডিরেক্টর হলেন কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী, রীনারানি অধিকারী। এরা কে? এরা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যর কাকা-কাকিমা।
advertisement
ইডির আরও অভিযোগ, কল্যাণময় ভট্টাচার্যর বয়ান থেকে স্পষ্ট হয় যে কীভাবে এই স্কুলের জমি কেনা হয়েছিল এবং স্কুল বানানোর জন্য নগদ প্রায় ১৫ কোটি টাকা কোথা থেকে এসেছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীর আগের যে সম্পত্তি ছিল সেগুলি আমরা বাজেয়াপ্ত করিনি। কিন্তু যে ব্যক্তির কাছে ৩০ হাজার টাকা ছিল তিনি কীভাবে কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন?
advertisement
ইডির দাবি, রাঁধুনি এবং ড্রাইভারকে পর্যন্ত তার বিভিন্ন সংস্থা চালাবার জন্য ব্যবহার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সমস্ত সংস্থার নিয়ন্ত্রণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই ছিল। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এক আত্মীয়কে ড্রাইভার থেকে একটি সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। এই ধরনের গরীব মানুষদের ব্যবহার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বোলপুরের সম্পত্তি যৌথভাবে কিনেছিলেন পার্থ – অর্পিতা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 29, 2024 7:37 PM IST