কলকাতার পুরভোটে লড়তে চান "রেশন ভজা"

Last Updated:

আসন্ন কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে চান ভক্তিপদ দাস

#কলকাতা: ১৪ টাকা কেজি দরে চাল! মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে ডাল! ১৫/১৬ টাকায় আটা-ময়দা! চিনি ২২ টাকায় আর তেল ৬১ টাকায়! খাস কলকাতায় এমনই দোকান মাতৃভান্ডার!
বিশ্বাস হচ্ছে না তো? একদিন পরখ করে দেখে নিন, কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকার রেজিমেন্ট ক্লাবের পাশে মাতৃভান্ডারে এসে। প্রায় ১৩ বছর ধরে এলাকার গরীব মানুষদের ৫০% কমে চাল, ডাল, তেল, নুন জোগান দেন ভক্তিপদ দাস। এলাকার মানুষ ভালোবেসে যাকে "রেশন ভজা" বলে ডাকে।
রীতিমতো হলুদ রঙের রেশন কার্ডে প্রতিমাসে চাল, ডাল, তেল, নুন, আটা, ময়দা, চিনি, বিস্কুট জোগান দেন রেশন ভজা। গরীব মানুষের জন্য মাতৃভান্ডারের নিজস্ব রেশন কার্ড তৈরি করেছেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু দুস্থ পরিবারকে একেবারে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করেন ভক্তি বাবু।
advertisement
advertisement
যাদের সামর্থ্য আছে তারাও মাতৃভান্ডার এলে উপকৃতই হবেন। কারণ বাজারদরের থেকে ২৫/৩০ শতাংশ কম দামে মুদিখানার জিনিসপত্র পাওয়া যায় রেশন ভজার দোকানে। আপাতত কাঁকুড়গাছির আশেপাশে ৪টি মাতৃভান্ডার খুলে গরিব মানুষকে এই পরিষেবা দিচ্ছেন ভক্তি বাবু। তাঁর ইচ্ছে শুধু কলকাতা নয় সারা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক মাতৃভান্ডার।
আর সেজন্যই আসন্ন কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে চান ভক্তিপদ দাস। এবং অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হতে চান। মানুষের সেবা করতে পারি মনোবাঞ্ছা জানিয়ে "দিদিকে বলো"তে ফোন করেছিলেন রেশন ভজা। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠিও পাঠিয়েছেন নিজের বায়োডাটা সহ।
advertisement
নির্বাচনে প্রার্থী হলে সবাই বলে এটা করে দেব সেটা করে দেব। রেশন ভজার কীর্তি যেন উলোট পুরাণ। কাজ করার পর বলছেন ভোটে দাঁড়াব। আরও কাজ করতে চাই। তবে দিদির সমর্থনেই ভোটে দাঁড়াতে চান তিনি।
জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। কাঁকুড়গাছির ভক্তিপদ দাসও কাজ করে চলেছেন আপন মনে। সরকারি রেশন দোকানের মতোই তাঁরও রয়েছে নিজস্ব রেশন ব্যবস্থা। রয়েছে হলুদ রেশন কার্ড। ১৩ বছর ধরে এই রেশন ব্যবস্থা চালু করেছেন ভজা। সেই থেকেই ভক্তিপথ দাস এলাকায় পরিচিত রেশন ভজা নামে।
advertisement
একটা সময় ভক্তিপদর পরিবারের অবস্থা সচ্ছল ছিল না। বাবাকে হারিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন দারিদ্র্যের যন্ত্রনা। মাধ্যমিক পাস ভক্তি সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। তারপরই মুদিখানার ব্যবসায় নামেন ভক্তিপদ। লভ্যাংশ থেকে দুঃস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেন সামগ্রী। মা ও দু'ভাইয়ের সংসারে তার এই রোজনামচা।
এই রোজনামচাকে রাজ্যজুড়ে ছড়াতে চান রেশন ভজা। ন্যায্য মূল্যের দোকান সমবায়িকা তৈরি করে রেশন বিলি ও কিছু মানুষের অন্নসংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ও দেন। ২০২০ এর পুরভোটে কাউন্সিলর পদে লড়াই করতে চান মজা। দিদিকে বল কর্মসূচিতে ফোন করে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নবান্নে চিঠি লিখে আবেদন করেন পুরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর।
advertisement
ভজার বিশ্বাস মাতৃভান্ডারের গ্রাহকরা তাকে ফেরাবেন না। পুরপিতা হয়ে তিনি আরও তাদের পরিষেবা দেবেন ব্যাপকভাবে । কাঁকুড়গাছি এলাকার সাড়ে ১২ হাজার গ্রাহক ই তাঁর ভরসা।শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেলে কুছ পরোয়া নেই। গরিবের এই রেশন দোকান মাতৃভান্ডার রাজ্যজুড়ে আরো ছড়িয়ে দেবেন। অফার থাকলেও কোন ও বিরোধী দলে তরী ভেড়াতে রাজি নন রেশন ভজা । নিজে 30 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও কলকাতার যে কোন ওয়ার্ডে পুরভোটের লড়াইয়ে নামার জন্য তৈরি রেশন ভজা । অপেক্ষা শুধু "দিদি"র ডাকের !
advertisement
BISWAJIT SAHA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কলকাতার পুরভোটে লড়তে চান "রেশন ভজা"
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement