#কলকাতা: ঘটনা ঘটেছিল গত শনিবার, নেতাজির জন্মবার্ষিকী ২৩শে জানুয়ারিতে, সেই ঘটনার রেশ পড়ল মঙ্গলবার ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেও। নেতাজি জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার সময় জয় শ্রী রাম শ্লোগান শোনা যায় দর্শকের আসন থেকে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেই শ্লোগান শোনা মাত্রই তীব্র প্রতিবাদ করে বক্তৃতা না রেখেই এই ঘটনার সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানালেও প্রতিবাদ চলছে রাজ্যজুড়ে।
মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসে দিনেও শ্যামবাজার পাঁচ মাথায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তিতে ক্ষমা চেয়ে প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীরা। অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছাত্রছাত্রীদের মঞ্চে দেখা যায়নি কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানার। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে বার্তা ছিল "ক্ষমা করো নেতাজি"। নেতাজির পাদদেশে তার অপমানের বিরুদ্ধে হাঁটু গেরে ক্ষমা চাওয়ার পর নেতাজির অবদানের কথা আলোচনা করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ অনেকে। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালিগঞ্জ সাইন্স কলেজের পড়ুয়া অভিরুপ চক্রবর্তী জানান, নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপি সমর্থকদের এই ঘটনায় শুধু অপমানিত হয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় তা নয়, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকেও অপমান করায় এই কর্মসূচি অরাজনৈতিক মঞ্চে। আগামীদিনেও এই প্রতিবাদ জারি রাখার পাশাপাশি বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিতে হবে। এই কর্মসূচি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে চলে দিনভর। মঙ্গলবার শ্যামবাজারে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তির কাছে অরাজনৈতিক মঞ্চে জাতীয় পতাকা ছাড়া কোন রাজনৈতিক পতাকা না দেখা গেলেও অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের দেখা মেলে। সোমবার ধর্মতলার একটি শিক্ষকদের অনুষ্ঠানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঘটনায় আগামীদিনে আরও কর্মসূচি নেওয়া ও জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়ার কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।