#ব্যারাকপুর: বাংলার রাজনীতি সরগরম তৃণমূলের দুই বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে ৷ সকালে শুভেন্দুর বিস্ফোরক মেসেজের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্টে ফের নয়া জল্পনার শুরু ৷ সম্প্রতিই ব্যারাকপুরের বিধায়ক ঘোষণা করেছিলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়বেন না ৷
শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের মান ভাঙাতে উদ্যোগী হয় তৃণমূল কংগ্রেস ৷ পিকে টিম ও পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গিয়েও লাভ হয়নি ৷ পিকে টিমের সঙ্গে দেখা হলেও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি শীলভদ্রের দত্তের ৷ তিনি বাড়িতে না থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই ফিরে আসতে হয় জ্যোতিপ্রিয়কে৷ এই চিত্র অনেককেই কয়েকদিন আগের এক ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে ৷ যখন মিহির গোস্বামীকে বোঝানোর দায়িত্ব নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছেও দেখা পাননি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ৷ খালি হাতেই ফিরতে হয় বিধায়ককে ৷ সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী ৷
গতকাল বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়ি যান টিম পিকে-র দুই সদস্য ৷ তাতেও খানিক অসন্তুষ্ট হন বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ৷ বলেন, 'পিকে-র দলের কাজকর্ম আমার পছন্দ হয়নি৷ দলের নেতারা এলে অনেক ভাল হত৷ তবে এটা তাঁদের ব্যাপার৷ দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁরাই এসেছেন৷ যেটা আগে বলেছি সেখান থেকে পিছিয়ে আসার জায়গা নয় ৷'
একই সঙ্গে অবশ্য তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলের নেতারা এলেও তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরবেন না৷ ব্যারাকপুরের বিধায়কের দাবি, তাঁর কোথায় সমস্যা হচ্ছে সে সম্পর্কে দলীয় নেতৃত্বকে অনেক দিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন ৷ তাঁর কথায়, ‘এই আসাটা আরও আগে হলে ভাল হত৷’ এরপরই ব্যারাকপুরের বিধায়কের বাড়ি আসেন খাদ্যমন্ত্রী ৷
খাদ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, শীলভদ্র দত্ত রাজনৈতিক সহকর্মী ছাড়াও তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু৷ তাঁদের প্রায় ৪৫ বছরের পরিচয়৷ রাজনৈতিক কোনও কারণ নয়, এ দিন এমনিই তিনি শীলভদ্র দত্তের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়৷ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকে ওর সঙ্গে আমার পরিচয়৷ নিয়মিত ফোনেও কথা হয়৷ এ দিক দিয়ে যাচ্ছিলাম বলে আমি জানিয়েছিলাম যে আসব৷'
শীলভদ্র দত্ত জানতেন জ্যোতিপ্রিয় আসবেন৷ তার পরেও এ দিন বাড়িতে ছিলেন না তিনি৷ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে ফোন ব্যারাকপুরের বিধায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও ফেরেননি শীলভদ্র৷ বিধায়কের বোন জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এলে তাঁকে চা খাওয়াতে বলে গিয়েছেন শীলভদ্রবাবু৷ সব কিছু দেখে শুনে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘর সামলাতে নাজেহাল ঘাসফুল শিবির ৷ বিক্ষুব্ধ বিধায়কেরা কোনপথে হাঁটবেন জানতে এখন কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ৷