হোম /খবর /কলকাতা /
নকুলদানাতেই লুকিয়ে চরম বিপদ! জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

Nakuldana : নকুলদানাতেই লুকিয়ে চরম বিপদ! জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

নকুলদানা ঠাকুরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়

নকুলদানা ঠাকুরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়

Nakuldana : নকুলদানা তৈরি হচ্ছে।যেভাবে নোংরা পরিবেশের মধ্যে তৈরি হচ্ছে খুব অস্বাস্থ্যকর ভাবে।সঙ্গে ইচ্ছাকৃত কেমিক্যালের ব্যবহার যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলে,নকুল দানার খাদ্যগুণ নিয়ে।

  • Share this:

কলকাতা : খাদ্যের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।খাবার বানিয়ে বিক্রি করে বেকারত্ব দূর হচ্ছে বলে অনেকেই দাবি করেন।কিন্তু খাবারের মান নিয়ে কি কেউ ভাবে?সেটাই আস্তে আস্তে বড় প্রশ্ন চিহ্ন হিসাবে দেখা দিচ্ছে।রাস্তায় বের হলে বিভিন্ন খাবার তৈরি আমরা দেখি।সেগুলোর গুণমান নিয়ে কেউ কোনও সময় ভাবে না।

নকুলদানা ঠাকুরের প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।বেশিরভাগ বাঙালি  বাড়িতেই নকুলদানা থাকে।  এই নকুলদানা কীভাবে তৈরি হয়?নিমতলা শ্মশান ঘাটের ঠিক আগেই তৈরি হচ্ছে নকুলদানা।যাঁরা তৈরি করছেন,সেই সমস্ত কর্মচারীদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানান যে চিনি, সাইট্রিক অ্যাসিড এবং সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইট দিয়ে তৈরি হচ্ছে নকুলদানা।

নির্মাতাদের দাবি, সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইট দেওয়ার ফলে ধবধবে সাদা হয়। সাইট্রিক অ্যাসিড দেওয়ার ফলে দানাগুলো 'ইঁদুর মাটির' আকার ধারণ করে।  প্রশ্ন ছিল, এই ধরনের নকুলদানা খেলে আমাদের কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে? তবে সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের বিভাগীয় প্রধান প্রশান্ত বিশ্বাস।

আরও পড়ুন :  আগামী বছর সরস্বতী পুজো কবে, পঞ্চমী তিথি থাকবেই বা কত ক্ষণ, জেনে নিন এখনই

তিনি বলেন,'নকুলদানা যারা তৈরি করছে, তারা চিনির রসের সঙ্গে সাইট্রিক অ্যাসিড ও সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইট না মেপেই আন্দাজে মিশিয়ে দেয়।যার ফলে, যদি ওই জিনিস গুলি বেশি মিশে যায়। তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যের  ক্ষতি হতে পারে। তবে যাঁদের অ্যাজমা আছে,বা পাকস্থলীর সমস্যা আছে , তাঁদের একদম খাওয়া উচিত না।এই যৌগ সমস্যাগুলি বাড়িয়ে দিতে পারে।তবে এগুলো প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার হয়।'

আরও পড়ুন : শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা মেট্রো পৌঁছতে আরও দেরি? নতুন বিভ্রাটে বাড়ছে আশঙ্কা

তবে স্বাস্থ্য দফতরের কেউ এখানে যায় না বলে জানান দোকানের কর্মীরা।এই নকুলদানা প্রতিদিন খেতে বারণ করছে বিশেষজ্ঞরা। নকুলদানা প্রতিদিন কয়েকশো কেজি তৈরি হচ্ছে। সেগুলোর গুণমান পরীক্ষা করে দেখেন কি স্বাস্থ্য দফতর? এটাই অনেকের প্রশ্ন ।

Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:

Tags: Nakuldana