Exclusive: ‘আমি ডাবল মার্জিনে জিতব,’ ভরপুর আত্মবিশ্বাসে স্বমহিমায় মহুয়া! বললেন.. ‘ওদের চিতায় তুলবই’

Last Updated:

মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নিউজ ১৮ বাংলা

কলকাতা: তদন্তই নাকি হয়নি৷ তার আগেই শাস্তির বিধান! গত বৃহস্পতিবার ‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’ মামলায় সংসদীয় এথিক্স কমিটির সুপারিশ সামনে আসার পরে এমনই অভিযোগ তুলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ কিন্তু, সাংসদের অভিযোগ শুধু এতেই থেমে নেই৷ বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আগে বুধবার রাতে এথিক্স কমিটির গোপন খসড়া রিপোর্ট কী ভাবে ফাঁস হল? সেই প্রশ্ন তুলেও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে মোট ৬ দফা অভিযোগ জানিয়েছেন মহুয়া৷ সংবাদ মাধ্যমের সামনে এথিক্স কমিটিকে ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বলে কটাক্ষ করতেও ছড়েননি তিনি৷
শুক্রবার এই বিষয়ে সরাসরি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন নিউজ ১৮ বাংলার প্রতিনিধি৷ 
এথিক্স কমিটির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিজের পাসওয়ার্ড নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অন্যকে দিয়েছিলেন মহুয়া৷ এতে লঙ্ঘিত হয়েছে জাতীয় সুরক্ষার মতো বিষয়৷ এবিষয়ে অবশ্য মহুয়ার মন্তব্য, ‘‘৬১ বার প্রশ্নের জন্য ৪৭ বার লগ ইন হতেই পারে। ৯ টি প্রশ্ন হয়েছে আদানি নিয়ে। বাকি ৫২ প্রশ্ন তো অন্য ইস্যু নিয়ে। বন্ধুর অফিসের টাইপিস্ট প্রশ্নগুলো তুলেছিল। আমি আমার বন্ধুর অফিসের টাইপিস্টকে দিয়ে এই কাজ করাই, কী ভাগ্নিকে দিয়ে করাই, সেটা আমার ব্যাপার। আমার কাছে OTP আসে।’’
advertisement
advertisement
মহুয়ার দাবি জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে তিনি কখনও আপস করেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে আজ এই জায়গায় এসেছি। আমি এরকমই থাকতে চাই। নিশ্চিত কোনও ভুল ত্রুটি থাকলে শুধরে নেব। তবে আমি এভাবেই থাকব। তবে জেনে রাখুন আমি জাতীয় সুরক্ষার সাথে আপস করিনি।’’
তবে সময়ের আগে এথিক্স কমিটির খসড়া রিপোর্ট কী ভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এল এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমাদের একটা রুল আছে ২৭৫(২), এথিক্স কমিটিতে যা থাকে তা বাইরে বেরোয় না। এখানে দেখলাম তারা বাইরে বলে দিচ্ছে। যিনি এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তিনি তার নিজের নাম ঠিক করে বলতে পারেন না। এথিক্স কমিটি হাস্যকর করে তুলেছে। প্রমাণ নেই, তদন্তের আগে সুপারিশ করে দিচ্ছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্র কি টিকিট পাবেন ২৪-এর নির্বাচনে? প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক সাংসদ
তবে এমন জোরাল বিতর্কের পরে রাজনীতির অন্দরে কানাঘুঁষো জল্পনা, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে আদৌ কি টিকিট পাবেন মহুয়া? যদিও টিকিট পাওয়া তো বটেই ‘ডাবল মার্জিনে’ জেতার প্রশ্নেও আত্মবিশ্বাসী সাংসদ৷
একেবারে নিজস্ব ঢঙে আত্মবিশ্বাসী মহুয়া সপাট বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি৷ আমি দাঁড়াব৷ আমি ডাবল মার্জিনে জিতব। প্রথম থেকেই বলে এসেছি, আমি ওদের চিতায় তুলবই। আজকে যা হল, এটা আমার কাছে সুবর্ণ সুযোগ। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা এবার ভুল বুঝতে পারছেন৷’’
advertisement
এথিক্স কমিটি সুপারিশ করলেও, সাংসদ পদ হারানো নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চান না তৃণমূল সাংসদ ৷ বলেন, ‘‘এখন কী হবে ভেবে লাভ নেই। আমার বহিষ্কার এখনও হয়নি। আগে ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হোক। তারপর দেখা যাবে। শীতকালীন অধিবেশনের আগে আমার মুখ বন্ধ করতে হবে। রাহুল, কেজরিওয়াল, অভিষেককে সমস্যায় ফেলতে হবে। তাই না এই সব করছে! আর ঝাড়খণ্ডের একটা লোক আছে (নিশিকান্ত দুবে), যাঁর সাংসদ হবার যোগ্যতা নেই। সে সাংসদ হয়েছে। ফেক ডিগ্রি নিয়ে বসে আছে। লোকপাল কিছু জানাচ্ছে না। আর সে বলে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করবে। আমি সিবিআই’কে চিঠি লিখে জানাব, আমার বাড়িতে আসার আগে কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে চিঠি দেব। আমার লড়াই, আমাকে নিয়ে লড়াই আসলে রাজনৈতিক লড়াই। কোনও প্রমাণ নেই। কোনও মেরিট নেই। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।’’
advertisement
গত বৃহস্পতিবার মহুয়া ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড৷ বলেছেন, মহুয়া মৈত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার৷ এদিন মহুয়াও জানান তাঁর পাশেই রয়েছে তাঁর দল৷ সাংসদ বলেন, ‘‘আমি দলের প্রতীকের বাইরে নই। আমি দলের সাথে আছি। তবে আমিও মেরুদণ্ড সোজা করে লড়াই চালাচ্ছি। আমার সাথে দলের সূক্ষ্ম বিভাজনে আছে এমনটা বিজেপি বলে বেড়ায়। আমি দলের সাথে, দল আমার সাথে আছে।’’
advertisement
‘ঘুষের বিনিময়ে’ সংসদের অধিবেশনে আদানি গ্রুপ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র৷ সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওমপ্রকাশ বিড়লার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে৷ যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দিল্লির রাজনীতি৷ ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েই সংসদে আদানি গ্রুপ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া৷ তার পরেই মহুয়া মৈত্রকে ডেকে পাঠায় সংসদীয় এথিক্স কমিটি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘মহুয়া নিজের লড়াই নিজে লড়তে পারে’, ঘুষের বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
গত ২ নভেম্বর এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরাও দেন মহুয়া৷ কিন্তু, কিছুক্ষণ প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার পরেই ঝড়ে বেগে বেরিয়ে আসেন সেই বৈঠক থেকে৷ অভিযোগ তোলেন, তাঁকে ‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করা হয়েছে সেখানে৷ পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে, এথিক্স কমিটির বৈঠকে মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। লোকসভার স্পিকারের কাছে এক জন মহিলা সাংসদ হিসাবে ‘সুরক্ষা’ও চান।
এই সব কিছুর পরেই গত বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির ৫০০ পাতার রিপোর্ট৷ যে রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে লোকসভার অধ্যক্ষ ওমপ্রকাশ বিড়লার কাছে৷ রিপোর্টে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছেন এথিক্স কমিটির সদস্যেরা৷ এই সুপারিশের পক্ষে মত দিয়েছেন এথিক্স কমিটির ৬০ শতাংশ সদস্য৷ বিপক্ষে ৪০ শতাংশ৷
মহুয়ার অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে শুনানির পর যে খসড়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, সেই রিপোর্ট নিয়ে নিয়মমাফিক কোনও আলোচনাই করা হয়নি। বরং কমিটির চেয়ারম্যান সরাসরি সেই রিপোর্ট ভোটাভুটির জন্য নিয়ে আসেন। মহুয়ার দাবি, কমিটির সদস্যদের মধ্যেই অনেকেই খসড়া রিপোর্ট নিেয় আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদের কথায়, কমিটির চেয়ারম্যান দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে ভোটাভুটি শুরু করে দেন। গোটা বিষয়টি দু মিনিটের মধ্যে মিটে যায়।
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Exclusive: ‘আমি ডাবল মার্জিনে জিতব,’ ভরপুর আত্মবিশ্বাসে স্বমহিমায় মহুয়া! বললেন.. ‘ওদের চিতায় তুলবই’
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement