#কলকাতা: বিয়ে করতে এসে ভোট দিলেন বর-বধূ। ভালোবাসার দিনে টালা পার্কে গণবিবাহে যোগ দিলেন ৭০ জন। বিয়ের পাশাপাশি ছিল ব্যালট পেপারে ডেমো ভোট। তাতে রাজনৈতিক দলের প্রতীকের পাশে টিক দিয়ে নিজের মত প্রকাশ করে ব্যালট বক্সে তা জমা দিলেন সদ্য বিবাহিতরা। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে যেন হয়ে গেল নির্বাচনী মহড়া।
নির্বাচন কমিশন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট কবে ঘোষণা করবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সব রাজনৈতিক দল। ঘোষণা যে দিনই হোক আস্তে আস্তে রাজ্য জুড়ে বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। পাল্লা ভারী কোন দিকে, ছোট ফুল না বড় ফুল? কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে জোট? আলোচনায় মশগুল আপামর বাঙালি। তার মাঝেই টালা পার্কের গণবিবাহে হয়ে গেল ডেমো নির্বাচন। আর ভোট দিলেন সদ্য বিবাহিতরা।
কলকাতা পুরসভার চার ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমানে কো-অর্ডিনেটর গৌতম হালদার আয়োজন করেছিলেন এই গণবিবাহের। মোট ৭০ জনের বিয়ে হল আজ। প্রত্যেকবারের মতো খাট, আলমারি, সোনার গয়না, ঘড়ি, সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এমনকি সেলাই মেশিন পর্যন্ত দেওয়া হল নব দম্পতিদের। সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিয়ে হল সবার। কিন্তু বিয়ে করতে বসা আগে ভোট দিতে হল সকল পাত্র এবং কনেকে।
ব্যালট পেপারে সবার ওপরে ঘাসফুল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপির প্রতীক পদ্ম ফুল। আর তৃতীয় স্থানে সিপিএমের কাস্তে হাতুড়ি আর কংগ্রেসের হাত চিহ্ন অর্থাৎ জোট। সকলেই টিক দিয়ে ভোট দিলেন নিজেদের পছন্দের নির্দিষ্ট প্রতীকের পাশে। তারপর সেই কাগজ নিয়ে গিয়ে জমা দিলেন ব্যালটবক্সে। গৌতম হালদার বলেন, 'আমরা রাজনীতি করি। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেই আমাদের পরিচয়। একইসঙ্গে গণবিবাহের আয়োজন করে থাকি। যেহেতু ভোট আসছে, তাই আমরা একটি প্রতীকী নির্বাচনের আয়োজন করেছি। যাদের বিয়ে হচ্ছে তারা ভোট দিয়ে নিজেদের মত প্রদান করবে। এই ভোটের যে ফলাফল হবে তা আমরা অন্যদের কাছে প্রচার করবো।'