এ দিন বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিমের দুই দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেন মমতা৷ সেই সভা থেকেই তিনি নাম না করে পায়েল- শ্রাবন্তীকে কটাক্ষ করেন৷ মমতা বলেন, 'পার্থদা ভাল হোক খারাপ হোক, সে আপনার ঘরের ছেলে, সবসময় পড়ে থাকে৷ আর কোথা থেকে দুটোকে জুটিয়ে নিয়ে এসেছে, কোনও দিনও পাবেন? রত্না কাজের মেয়ে৷ রত্নার মা মহেশতলায় এমএলএ ছিল৷ রত্নার বাবা এখনও এমএলএ৷ নব্বই সালে যখন মার খেয়েছিলাম, রত্না রাস্তায় দাঁড়িয়ে লড়াই করেছিল৷ তখন তো ও ছোট্ট মেয়ে৷ সেই রত্নাই আজ প্রার্থী, ও তো আপনাদের ঘরের মেয়ে৷ আর এটা আমার মাদারল্যান্ড৷ বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিম আমার মাতৃভূমি৷ এখান থেকে যেন আমি ফিরে না যাই৷ এখান থেকে আমি ফিরে গেলে দুই- তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কী করে পাব?'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবার তৃণমূল- বিজেপি দুই দলের প্রার্থী তালিকাতেই টালিগঞ্জের বড় পর্দা এবং ছোট পর্দার তারকাদের ছড়াছড়ি৷ তৃণমূল যেখানে কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, সোহম চট্টোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রার্থী করেছে, সেখানে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকায় রয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকার, রুদ্রনীল ঘোষ, লাভলি মৈত্রদের নাম৷
বেহালার জন্য তিনি কী কী করেছেন, এ দিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন জোকা- বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের কথা৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি এমন ভাবে এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে এসেছিলেন যাতে তিনি দায়িত্ব ছাড়লেও কাজ না আটকে থাকে৷ ভেঙে পড়া মাঝেরহাট সেতুও দ্রুততার সঙ্গে কীভাবে নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বলেন, 'বেহালার মানুষ এত ভালবাসা দিচ্ছে আমার, হিংসে হচ্ছে কেন এখান থেকে প্রার্থী হলাম না'
তবে এ দিন সেভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে টানেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ একবার তিনি বলেন, 'গদ্দার, মীরজাফররা চলে গেছে আমি খুশি, একটা গেলে আমি একশোটা তৈরি করে নেব৷ '