জাকিরকে পরিকল্পনা করে খুন করতে চেয়েছিল ওরা, এসএসকেএম থেকে মমতা

Last Updated:

মুখ্যমন্ত্রী জাকিরকে দেখে বেরিয়ে বলেন, এটা অনেক বড় ষড়যন্ত্র। রেল এতবড় ঘটনার পরে কী করে গা ছাড়া দিচ্ছে জানি না।

#কলকাতা: বোমার ঘায়ে জখম শ্রম-প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে এসএসকেএম-এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ জাকির হোসেনকে এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর থেকে জাকির হোসেনের স্বাস্থ্যের খবর নেন। বেরিয়ে মমতা বললেন, "পরিস্থিতি দেখে শিউরে উঠছি। এর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতেই হবে।" মমতা এদিন  কথা বলেন ডাক্তারদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীই জানালেন, হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৬ জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। পাশাপাশি জাকিরকে দলত্যাগের জন্য জোর করা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জাকিরকে দেখে বেরিয়ে এদিন বলেন, "এটা অনেক বড় ষড়যন্ত্র। রেল এতবড় ঘটনার পরে কী করে গা ছাড়া দিচ্ছে জানি না। জাকিরের অবস্থা খারাপ, এখন অপারেশন থিয়েটারের রয়েছে। কয়েকজন পেশেন্টের অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাদের ৫ লক্ষ টাকা দেবো, অপেক্ষাকৃত কম জখমদের জন্য ১  লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। প্লাস্টিক সার্জারির দায়িত্বও নেবো। সত্যি ঘটনাটা খুঁজে বের করবে তিনটি দল।" মমতার অভিযোগ এই ঘটনার সময়ে কোনও রেলপুলিশ ছিল না নিমতিতা স্টেশনে। জায়গাটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর মত, রিমোট ব্যবহার করেও বিস্ফোরণ হতে পারে। এদিন জাকির হোসেনের স্ত্রী-র সঙ্গে কথা হয়েছে, জানান মমতা।
advertisement
মন্ত্রী জাকির হোসেনকে বুধবার রাতে প্রথমে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার ভোর চারটে পঁয়তাল্লিশ নাগাদ কলকাতায় নিয়ে আসা হয় জাকির হোসেনকে। এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর পায়ের হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মাংশপেশি ও টিস্যুতে গভীর আঘাত রয়েছে তাঁর। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন মন্ত্রী। ধীরে ধীরে বিস্ফোরণের প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে উঠছেন তিনি। তাঁর পায়ের এক্স-রে করা হয়েছে। বোমায় জখম সুজন বিশ্বাসও এসএসকেএম-এ ভর্তি। মন্ত্রীর হাতে পায়ে বোমার আঘাত জনিত ক্ষত রয়েছে। দেহে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর অর্থোপেডিক সার্জেনরা একটি অস্ত্রোপচার করবেন জাকির হোসেনের।
advertisement
advertisement
বুধবার সন্ধ্যেতেও দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মোশারফ হোসেনদের বহিস্কার করার মতো জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্যাক্টরির দিকে রওনা হয়েছিলেন জাকির হোসেন। সেখানে থেকে কলকাতায় আসার ট্রেন ধরতে আসছিলেন তিনি। অনুগামীরা লাইভও করছিলেন, সেই সময়ে হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। নিমতিতা স্টেশন চত্বর রক্তে ভেসে যেতে থাকে। জাকির ছাড়াও আহত হন তাঁর অন্তত ১৪ জন অনুগামী । সূত্রের খবর ৬ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
advertisement
সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই জানত জাকির আজ কলকাতা যাওয়ার ট্রেন ধরতে পারেন। নিমতিতায় স্টেশনে ঢোকার মুখেই বোমা বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর একটি ব্যাগ রাখা ছিল তাদের যাওয়ার পথে। অন্ধকার স্টেশনে সেই ব্যাগে পা পড়তেই বিস্ফোরণ। তাতে আহত হন জাকির হোসেন-সহ ২৬ জন। ইতিমধ্যেই নিমতিতা পৌঁছেছেন সিআইডি তদন্তকারী দল, রয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঠিক কী ভাবে, কোন উপাদানে বিস্ফোরণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
জাকিরকে পরিকল্পনা করে খুন করতে চেয়েছিল ওরা, এসএসকেএম থেকে মমতা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement