#কলকাতা: গাড়িয়াহাটের ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক সনাতন কাণ্ডে চার্জশিট পেশ কলকাতা পুলিশ। মাত্র ৫২ দিন পরেই চার্জশিট পেশ করল গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। আদালত সূত্রে খবর, চার্জশিটে নাম রয়েছে তিন জনের। মূল অভিযুক্ত, সনাতন রায় চৌধুরী এছাড়া বাকি দুজনকে পলাতক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। পলাতকদের মধ্যে রয়েছে কঙ্কাবতী ঘোষ ও অমর নাথ মেহেতা। ২ মাস হওয়ার আগেই চার্জশিট পেশ করল গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে 467, 468, 420, 419, 471 আইপিসি ধারা দেওয়া হয়েছে চার্জশিটে।
গড়িয়াহাট ভুয়ো সিবিআই স্পেশাল স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল পরিচয় দিয়ে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার হয় সনাতন রায় চৌধুরী। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, বহু ডকুমেন্টস সনাতন জাল করেছে যেগুলি পুলিশ উদ্ধার করেছে। এমনকি হাই কোর্টের ডকুমেন্টস জাল করে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করেছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, নীল বাতির গাড়ি করে ঘুরতো সনাতন। সিবিআই স্পেশাল স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে সে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল।
গত ৫ জুলাই গ্রেফতার হয় সনাতন। শুক্রবার চার্জশিট পেশের পাশাপাশি সনাতনের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জামিনের জন্য আবেদন করা হয় আলিপুর আদালতে। পাল্টা সরকারি আইনজীবী (চিফ পি পি) সৌরিন ঘোষাল তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন, কাস্টডি ট্রায়ালে (জেলে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চলুক) রাখা হোক সনাতনকে। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আলিপুর আদালতের বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। চার্জশিট পেশের পরও জামিন পেল না সনাতন। আলিপুর আদালতে কাস্টডি ট্রায়ালের জন্য ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সনাতন রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সনাতন ভুয়ো পরিচয় দিতো। সিবিআই স্পেশাল কাউন্সেল বলে পরিচয় দিতো। নীল বাতি গাড়ি নিয়ে ঘুরতো। আর এখানেই সন্দেহ হয় পুলিশের। গড়িয়াহাট থানায় ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন্স-এর বাসিন্দা মধুমিতা সেনগুপ্ত অভিযোগ করেন, এই সনাতন তাঁদের বাড়িতে মধুমিতার বাবার ৫০০ বর্গফুটের অফিস হঠাৎ দখল করে বসে। হাই কোর্টের ভুয়ো নথি দেখিয়ে অর্ডার আছে বলে জাঁকিয়ে বসে সে। প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট জন্য ডেভেলপার রয়েছে বলে দাবি করে সনাতন। ওই প্রোমোটারের নাম অমর নাথ মেহেতা।
মধুমিতা বারবার বললেও সে অফিস ছাড়েনি। উল্টে সনাতন স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল-এর বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। ৩০ জুন মধুমিতা অভিযোগ করেন। গড়িয়াহাট থানার পুলিশ গত ৫ জুলাই সনাতনকে গ্রেফতার করে। এমনকি গত ২৫ জুন তালতলা থানায় অভিযোগ হয় সনাতনের বিরুদ্ধে। সনাতন নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের উপদেষ্টা বলেপরিচয় দিয়েছিলো। তালতলার একটি কেসে নিজেকে এই বলে পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটানো চেষ্টা করে সে। পুলিশের সন্দেহ হয় কারণ, এরকম কোনও পদ নেই। তখন তালতলা থানা সতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করে। একাধিক জায়গায় ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও প্রভাব খাটাতো বলে অভিযোগ তাঁর। গড়িয়াহাটের সেই ঘটনায় এবার ৫২ দিন পরে চার্জশিট দিলো কলকাতা পুলিশ |
ARPITA HAZRA
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fake CBI Officer