হোম /খবর /কলকাতা /
বনধকেও হারিয়ে দিল ‘জনতা কার্ফু’! করোনা আটকাতে রবিবার ঘরবন্দি তিলোত্তমা

বনধকেও হারিয়ে দিল ‘জনতা কার্ফু’! করোনা আটকাতে রবিবার ঘরবন্দি তিলোত্তমা

ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিটে রবিবাসরীয় সকালে কিছুটা হলেও যে ভিড় থাকে, সেখানে কাকপক্ষী ছাড়া আর কাউকে প্রায় দেখা গেল না।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। আর সেখানেই তিনি এখন বিশ্বের সবথেকে বড় ত্রাস করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশের মানুষকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান। নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত জনতা কার্ফু পালন করার আবেদন জানান। আর তারপর থেকেই দেশের  সর্বত্র কি জানি কি হয়! তবে রবিবার সকাল থেকেই এই জনতা জনার্দন মানুষ দেখিয়ে দিল, সে সব পারে। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতার রাস্তায় যেন অন্যকিছুর ছোঁয়া। ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিটে রবিবাসরীয় সকালে কিছুটা হলেও যে ভিড় থাকে, সেখানে কাকপক্ষী ছাড়া আর কাউকে প্রায় দেখা গেল না।

রবিবার ছিল না কোনও সরকার নিয়ন্ত্রিত কারফিউ ৷ সবার কাছে আবেদন করা হয়েছিল ঘর থেকে যাতে কেউ না বেরোয়। মারণ করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে যাতে মানুষ ভিড় না করে এবং কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতবর্ষ এখন দ্বিতীয় স্তরে,যেখানে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মূলত নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এটাই দ্বিতীয় স্তর। কিন্তু দেশের মানুষ যে সম্প্রতি বিদেশ যায় নি বা বিদেশ থেকে আসা কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন,এরকম কোনো উদাহরণ দেখা যায় নি। আর এরকম যাতে নাও ঘটে,তার জন্যই এই জনতা কার্ফু।

রবিবার সকাল থেকেই তিলোত্তমা কোলকাতা দেখিয়ে দিল ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। নিজে সতর্ক থাকলে অন্য কেও বাঁচানো সম্ভব। সতর্ক ও সচেতনতার অসামান্য নজির রাখল মহানগর কলকাতা। সকাল থেকে গোটা শহরে প্রায় বেসরকারি বাস দেখা যায়নি। ধর্মতলার মোড়ে সকালে সরকারি বাস টার্মিনাসে কিছু মানুষের ভিড়, যারা দূরদূরান্ত থেকে কলকাতায় এসেছেন অথবা জরুরী কাজে দূরে কোথাও যাবেন। একমাত্র তাদের জন্যই গুটিকয়েক দূরপাল্লার সরকারি বাস চলছে। যে অ্যাপ ক্যাব বা হলুদ ট্যাক্সির শাসনে শহর কলকাতা ত্রস্ত থাকে, বা যে অটো রিকশার দৌরাত্ম্যে কাঁপন লাগে,তারা রীতিমত উবে গেছে গোটা শহর থেকে। হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ ছাড়া আর কেউ নেই সদা ব্যস্ত ধর্মতলায়।

সকাল থেকে ধর্মতলা,ময়দান,চাঁদনী চক,পার্ক স্ট্রিট হন্যে হয়ে খুঁজলেও কোনো চা এর দোকান অব্দি খোলা পাওয়া যায় নি। ফলে বলাই বাহুল্য,মানুষ কিভাবে নিজেকে ঘরবন্দী করেছিল। স্বেচ্ছায় এই গৃহবন্দি হয়েছিল একটাই কারণে, নিজের ও আশপাশকে বাঁচাতে। প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাস ঠেকাতে মহানগর কলকাতা যে একজোট তা এদিনের ঐতিহাসিক দিনটিকে প্রত্যক্ষ করেই দেখা গেল।

Abhijit Chanda

Published by:Siddhartha Sarkar
First published:

Tags: Coronavirus in India, Janata Curfew