পোস্তার রাস্তা সংস্কার নিয়ে সংঘাতে কলকাতা বন্দর ও KMC

Last Updated:

কলকাতা বন্দরের সঙ্গে পুরসভার সংঘাত চরমে।

#কলকাতা: কলকাতা বন্দরের সঙ্গে পুরসভার সংঘাত চরমে। পোস্তার রাস্তা সংস্কার নিয়ে সংঘাত দুই কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে।
এই রাস্তা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে পড়ে। তাই এতদিন পোর্টের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়েছে KMC-কে ৷ কিন্তু গড়িমসি দেখে KMC-র সিদ্ধান্ত, পোর্টের ভরসায় না থেকে পুরসভাই রাস্তা সংস্কার করবে। একইসঙ্গে KMC-এর দাবি, নতুন রাস্তায় পুরসভার বোর্ড ঝোলানো থাকবে। সংস্কারের টাকা না পাওয়া অবধি খোলা হবে না বোর্ড। উল্লেখ্য, পোর্টট্রাস্টের কাছে কর বাবদ ৮০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে কলকাতা পুরসভার।
advertisement
সম্প্রতি প্রশ্ন ওঠে, ভেঙে ফেলা হবে কি গোটা পোস্তা উড়ালপুল? সম্প্রতি নিজেদের রিপোর্টে এমনই সুপারিশ করেছে খড়গপুর আইআইটি ও রাইটস। সূত্রের খবর, দুই সংস্থার রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দু’কিলোমিটারের সামান্য বেশি ওই ফ্লাইওভারের নকশা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে। তাতেই ওই উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
advertisement
৩১ মার্চ, ২০১৬
ঘটনার সূত্রপাত বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ। রোজকার মতোই ভিড়ে ঠাসা মধ্য কলকাতার বড়বাজারের পোস্তা এলাকা। সেইসময় গণেশ টকিজের কাছে হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। ধ্বসংস্তূপের তলায় তখন বহু মানুষ চাপা পড়ে। পুলিশ-দমকল-বিপর্যয় মোকাবিলা দলে কাজ না হওয়ায়, তড়িঘড়ি ডাক পড়ে সেনাবাহিনীর। সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গ্যাসকাটার দিয়ে কংক্রিটের চাঙড় ও লোহার বিম কেটে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সন্ধে গড়াতেই দুর্ঘটনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধারকাজ চলাকালীন ঠায় বসে থাকেন। শেষমেষ উড়ালপুল চাপা পড়ে ২৭ জন প্রাণ হারান। আহতের সংখ্যা ছিল ৮০-র বেশি।
advertisement
উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর কারণ খতিয়ে দেখতে রাইটস ও খড়গপুর আইআইটি-কে দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। ১০ অগাস্ট রাজ্যকে দেওয়া রাইটস ও খড়গপুর আইআইটি-র রিপোর্টে বেরিয়ে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
- উড়ালপুলের নকশায় ত্রুটি রয়েছে
- তার কাঠামো তৈরিতে গাফিলতি রয়েছে
- উড়ালপুলের ঝালাইয়ে গোলমাল রয়েছে
- ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী
advertisement
- তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করা হয়
এরপরই প্রশ্ন ওঠে পোস্তার এই অর্ধভগ্ন উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ কী? তার কোনও উল্লেখ ছিল না রিপোর্টে। রাজ্য তাই দুই সংস্থার কাছে রিপোর্টের আরও ব্যাখ্যা চায়। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দুই সংস্থাই গোটা উড়ালপুলটিকে ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভেঙে ফেলার পিছনে যে যুক্তি দেখানো হয়েছে তা হল, উড়ালপুলের যে অংশ ভেঙে গিয়েছে, তার সঙ্গে বাকি অংশও যান চলাচলের উপযুক্ত নয়। ফ্লাইওভার ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হোক। কিন্তু, আদৌ তা কি সম্ভব? ২০০৮ সালে, বাম আমলে কেন্দ্রীয় সরকারের জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের অধীনে ওই উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়। এখন তা ভেঙে ফেলতে হলে শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে রাজ্যকে।
advertisement
একনজরে পোস্তা উড়ালপুল
- ২০০৯ সালে উড়ালপুল নির্মাণ করতে শুরু করে আইভিআরসিএল
- দৈর্ঘ্যে তা মোট ২.২ কিলোমিটার
- মোট ১৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প
- তার ৬০% কাজ হয়ে যায়
- বাকি ৪০% কাজ শেষের আগেই তা ভেঙে পড়ে
রাজ্যের আশঙ্কা, উড়ালপুল ভেঙে ফেললে আশপাশের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেকারণেই বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে খড়গপুর আইআইটি ও রাইটসকে। সেই চূড়ান্ত রিপোর্টেই নির্ভর করছে পোস্তা উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পোস্তার রাস্তা সংস্কার নিয়ে সংঘাতে কলকাতা বন্দর ও KMC
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement