#কলকাতা : ফের শহরের বুকে এক তরুণীকে ধর্ষণের (Kasba Rape) অভিযোগ উঠলো জনৈক যুবকের বিরুদ্ধে | মদ্যপান করিয়ে, মারধর করে ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ (Kasba Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযোগকারিনীর মা। যদিও কসবা থানার (Kasba Police Station) পুলিশ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। ধৃতের নাম দেবাংশ পোদ্দার।
অভিযোগকারিনীর অভিযোগ, ডেটিং এপপ্স মাধ্যমে পরিচয় হয় ওই যুবকের সঙ্গ। গত ৩ জুলাই ঘটনাটি ঘটে কসবায় একটি ফ্ল্যাটে। অভিযোগ, পরিচয়ের পর ক্যামাক স্ট্রিটে একটি রেস্তোরায় যান দুজন। সেখানে তরুণীকে মদ্যপান করায় বলে অভিযোগ। এরপর সেখানে অসুস্থ হয়ে পরে তরুণী। ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে তরুণীর ফ্ল্যাটে পৌঁছাতে আসে। তরুণী বলেন, ওই যুবককে বাড়িতে চলে যেতে। কিন্তু ছেলেটি দরজা ঠেলে ঢুকে পরে জোর করে। জোর করে দরজা খুলে ঢুকে ওই যুবক তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তরুণী বাধা দিলে ব্যাপকভাবে মারধর করে ওই যুবক। তরুণী কার্যত বেহুঁশ হয়ে পড়ে। এরপর সেখান থেকে চম্পট দেয় যুবক। এরপর তরুণীকে তাঁর মা ফোন করেন বারবার কিন্তু ফোনে পাননি। তারপর পুলিশকে জানায় তাঁর মা যে মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তরুণীর মা বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পরে আছে। হুঁশ ফিরতে যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে।
৪ জুলাই পুলিশকে অভিযোগ জানাতে যান তরুণী ও তাঁর মা | অভিযোগকারিণী মা-এর দাবি, অভিযোগ করতে গেলে কসবা থানার ওসি বলেন, রবিবার ছুটির দিন, বিকালে আসতে। এমনকি দু ঘন্টা বসিয়ে রাখেন বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগ যদি প্রমান না হয় তখন মেয়ের বিয়ে দেওয়া মুশকিল বলেও মন্তব্য করেন এক এসআই, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারিণীর মা।
অভিযোগকারিনীর মা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, থানার অফিসার তাঁকে বলেন, রবিবারের সকাল বিকালের আগে এসেছেন কেন? আপনি এসব অভিযোগ করলে আপনার মেয়ের পরে বিয়ে হবে না। আপনার মেয়ে তো নিয়ে গিয়েছিল। অভিযোগকারিনীর মা পাল্টা বলেন, "আমার মেয়ে বলেনি জোর করে ধর্ষণ করতে, গলায় জোর করে কামড়ে অত্যাচার করতে, ব্যাপক হারে মারতে বলেনি। আমার মেয়ে বিয়ে করবে কিনা পরের ব্যাপার। কিন্তু আমরা কমপ্লেইন করবো।"
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। পুলিশের পাল্টা দাবি, অভিযোগকারিণীদের বেশিক্ষণ বসানো হয়নি। মেয়ের বিয়ে হবে না এটা পুলিশের তরফে বলা হয়নি। গত ৪ জুলাই কেস হওয়ার পরই গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযোগকারিণী আইনজীবী মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অনেকক্ষন বসিয়ে রেখে তারপর অভিযোগ দায়ের করে। তরুণীর জামাকাপড় ও বিভিন্ন প্রমাণ গ্রহণ করতেও সময় নেয়। অন্যদিকে, আপাতত জেল হেফাজতে আছে অভিযুক্ত ওই যুবক। যেখানে মহিলাদের অভিযোগ পাওয়া মাত্র সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করতে হয় অর্থাৎ 'জিরো টলারেন্স', সেখানে এধরণের পুলিশি ব্যাবহারে ক্ষুব্ধ অভিযোগকারিণীর পরিবার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kasba, Kolkata crime, Rape Case