কলকাতা: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের বরখাস্ত সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ আদালতের। তিন সপ্তাহ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার চাকরি বরখাস্তের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দারস্থ হন। সেই মামলায় শেষমেশ স্বস্তি রেজিস্ট্রারের।
কোনারের আইনজীবী জয়দীপ করের সওয়াল, শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের হাতে ক্ষমতা আছে চাকরি থেকে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার। 'কাজে আসার আর কোনও দরকার নেই' ই-মেইল করে উপাচার্যের এই কথা লেখার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই। যদি রেজিস্ট্রার কোনও কাজ করতে অসমর্থ হয় তখনই এমন লেখা যায়।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো সন্দেহে একরাতেই ৬ শিশুর মৃত্যু! বি সি রায়ে বাড়ছে 'ভাইরাস' আতঙ্ক...
উপাচার্যে'র আইনজীবী অরুনাংশু চক্রবর্তীর বক্তব্য, রেজিস্ট্রার প্রবেশনারি পিরিয়ডে ছিলেন। ভাইস চ্যান্সেলর তাকে অপসারিত করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে উপাচার্যের হাতে সে ক্ষমতা আছে।
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে সরানো হয়েছে বেআইনিভাবে। এমনই অভিযোগ করে মামলা হয় সম্প্রতি। বিচারপতি কৌশিক চন্দ বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হওয়ার কথা। বিচারপতি চন্দ বুধবার না বসায় মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বেঞ্চে শুনানি হয়। ৩ সপ্তাহ পর মামলাটি নির্দিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ-অবস্থান করছেন শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের একাংশ। চন্দন কোনারকে চাকরি থেকে বরখাস্তের পর বিক্ষোভ চরমে ওঠে। আসানসোল থানায় রেজিস্ট্রার সহ শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।