করোনা আতঙ্ক, অর্পিতা, প্রদ্যুৎদের বাড়িই 'মিনি অফিস', পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনের অপেক্ষা

Last Updated:

হাসি-আনন্দের মাঝেও শুভঙ্কর ,অর্পিতা, প্রদ্যুৎ- সবাই চাইছেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।

#কলকাতা: বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে মোবাইল ল্যাপটপ আর কাগজপত্র। কারও বা ডাইনিং টেবিল কিম্বা  সোফা কাম বেডে। অফিসের কাজের ফাঁকে সঙ্গী ছেলেমেয়ের সঙ্গে খুনসুটি কিম্বা স্ত্রীর হাতে গরম ধোঁয়া ওঠা চা। এমন যদি হয়, তাহলে আর কী চাই! করোনা সতর্কতায় এখন বেশিরভাগ সংস্থাই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' চালু করেছে। আর তাতেই যেন হাতে চাঁদ পেয়েছেন শুভঙ্কর, প্রদ্যুৎ- অর্পিতারা।আতঙ্ক আছে। কিন্তু তার সঙ্গে একটু যেন স্বস্তি। অন্তত ঘরের মানুষটাকে আর বাইরে যেতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই এখন অফিস সামাল দেওয়া।
করোনা সতর্কতায় ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বেশিরভাগ অফিসেই এখন 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' চালু হয়েছে। আর তাতেই বেজায় খুশি রাজারহাটের পাণ্ডে পরিবার। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী শুভঙ্কর পান্ডে বাড়ি থেকে বসেই এখন  অফিসের কাজ সামাল দিচ্ছেন। বললেন 'দারুণ অভিজ্ঞতা। অফিস হচ্ছে। পরিবারকে  সময়ও দেওয়া হচ্ছে'।কথা বলতে বলতেই শুভঙ্করের জন্য চা বানিয়ে আনলেন স্ত্রী অঙ্কিতা। প্রতিবেদককে আতিথেয়তার মাঝে বললেন, ,'জানেন, করোনা নিয়ে প্রচন্ড আতঙ্কে ছিলাম। স্বামী বাইরে যাতায়াত করত, ওকে নিয়েই চিন্তায় থাকতাম। বাড়িটাই কার্যত অফিসে পরিণত হওয়ায় সেই চিন্তা অনেকটাই দূর হয়েছে'। সেই সকালে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিস করে আসত অনেক রাত করে। সারাদিন বাবাকে খুব মিস করত শুভঙ্করের দুই ছেলে মেয়ে শ্রেয়ান ও সানায়া। ওদের এখন স্কুলও ছুটি। তাই বাবাকে সব সময় কাছে পেয়ে ওরাও আজ খুব খুশি। বাবাকে চোখের আড়ালই করতে চাইছে না দুই খুদে। কাজের চাপ তো আছেই। কিন্তু কাজের ফাঁকে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে খুনসুটি আর স্ত্রীর হাতে রান্না। এ যেন এক উপরি পাওনা। জানালেন শুভঙ্কর।
advertisement
advertisement
এদিকে,  এয়ারপোর্ট এক নম্বর  সিংহবাড়ি এলাকার একটি আবাসনে থাকেন তথ্যপ্রযুক্তি দম্পতি অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় ও প্রদ্যুৎ ভৌমিক। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের কর্মী। সকালে নাকে মুখে গুঁজে বেরোন আর রাতে বাড়ি ফেরা।কাজের চাপে দুজনের কথাবার্তা প্রায় হতই না। আড়াই বছরের সন্তান পোগোও বাবা-মাকে তেমন কাছে পেত না। কিন্তু এখন সারাদিনই পরিবারের সঙ্গে। বাবা-মা কে সবসময় কাছে পেয়ে ছোট্ট পোগো যে ভীষণ খুশি তা তার চোখ মুখ থেকেই স্পষ্ট।কর্তৃপক্ষের পরামর্শে করোনা সতর্কতা হিসেবে বাড়িতে বসেই অন্যান্যদের মত ল্যাপটপ, মোবাইল মারফত অফিসের সমস্ত কাজকর্ম চালাচ্ছেন অর্পিতা - প্রদ্যুৎ। জানালেন আমাদের জীবনে এ এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।ছোট্ট সন্তানকে সারাদিন কাছে পাচ্ছেন। কাজের ফাঁকে স্ত্রীর সঙ্গে আড্ডাও হচ্ছে। তবু কোথাও যেন অফিস মিস করছেন ওঁরা। বাড়িতে বসে কাজের মজা, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো। হাসি-আনন্দের মাঝেও  শুভঙ্কর ,অর্পিতা, প্রদ্যুৎ- সবাই চাইছেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।
advertisement
VENKATESWAR LAHIRI  
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
করোনা আতঙ্ক, অর্পিতা, প্রদ্যুৎদের বাড়িই 'মিনি অফিস', পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনের অপেক্ষা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement