হাইকোর্টের নির্দেশে বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, বদল আসতে চলেছে নিয়োগ তালিকায়

Last Updated:

হাইকোর্টের এই নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগদানকারী শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে তৈরি হল আশঙ্কা ৷

#কলকাতা : ফের হাইকোর্টে বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ তালিকায় ৷ RCI-এর স্পেশাল এডুকেশনকে মান্যতা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষিতদের তালিকায় ২১৪ জনকে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এর ফলে অধিকাংশ জেলায় বদল আসতে চলেছে নিয়োগ তালিকায় ৷ ফলে ফের আশঙ্কার দোলাচালে নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা ৷
নিয়োগে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছিল  প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে আরও চাপে পর্ষদ। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে প্রশিক্ষণের মর্যাদা দেওয়া হল স্পেশাল ডিপ্লোমা ইন এডুকেশনকে। ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বাড়তি নম্বর এবার যোগ হবে তাদের মেধাতালিকায়। ফলে বাড়তি নম্বর যোগ হলে ফের বদলে যেতে পারে নিয়োগ তালিকা।
শিক্ষক নিয়োগে প্রশিক্ষিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তো আগেই ছিল ৷ এবার বাড়ল প্রশিক্ষিত প্রার্থীর তালিকা ৷ স্পেশাল এডুকেশনে রিহ্যাবিলিটেশন অফ ইন্ডিয়ার ডিপ্লোমা প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষার্থী ৷
advertisement
advertisement
এদিন কলকাতা বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত নথি খুঁটিয়ে দেখার পর প্রাথমিক পর্ষদকে নির্দেশ দেয়, RCI -এর স্পেশাল এডুকেশনে ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত ওই ২১৪ জন পরীক্ষার্থীকে অবিলম্বে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে মান্যতা দিতে হবে ৷ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশের সঙ্গে ওই প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত ১৫ নম্বরও দেওয়ার কথা বলেন ৷
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগে  এর আগে অবরোধ, বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বহু চাকরিপ্রার্থী। সেই সব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল জেলায় নিয়োগপ্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। কিন্তু বুধবার হাইকোর্টের রায়ে পর্ষদের এখন ঢোক গেলা অবস্থা। বর্ধমানের সার্থক ঘোষের করা মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,  ২১৪ জন স্পেশাল ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং প্রশিক্ষণের জন্য পাওয়া বাড়তি নম্বরও যোগ করতে হবে তাদের মেধা তালিকায়।
advertisement
এর ফলে নিয়োগ তালিকায় আসতে চলেছে বড়সড় রদবদল ৷ হাইকোর্টের নির্দেশানুযায়ী, ওই ২১৪ জন চাকরিপ্রার্থীর মোট নম্বরে ১৫ নম্বর যুক্ত করে নতুন করে তৈরি করতে হবে তালিকা ৷ এতেই তৈরি হবে সমস্যা ৷
প্রাপ্ত নম্বরের হিসেব
-টেট--৫
-মাধ্যমিক-- ৫
-উচ্চমাধ্যমিক-- ১০
-প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে--১৫
-এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটি--৫
-ভাইবা, অ্যাপটিটিউট টেস্ট--১০
পুরনো নিয়ম অনুযায়ী,
advertisement
-স্পেশাল ডিপ্লোমা ইন এডুকেশনের প্রশিক্ষণকে স্বীকৃতি দিতে রাজি ছিল না পর্ষদ
-চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণ থাকা স্বত্বেও পাননি প্রশিক্ষণের স্বীকৃতি
-প্রশিক্ষণের বাড়তি ১৫ নম্বরও যোগ হয়নি মেধাতালিকায়
পর্ষদ সভাপতি মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কাজ সম্পূর্ণ ৷ জেলা ভিত্তিক শূন্যপদ ও জেলাভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করেছে পর্ষদ ৷ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগের পর বাকি শূন্য পদে নিয়োগ করা হয়েছে অপ্রশিক্ষিতদের ৷ হাইকোর্টের এই নির্দেশ অনুযায়ী, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সংখ্যা আরও বাড়বে, ফলে ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে তৈরি হল বড় আশঙ্কা ৷
advertisement
প্রশিক্ষণের পরেও প্রশিক্ষণের মর্যাদা পাচ্ছিলেন না ওই ২১৪ জন। ১৫ নম্বর যোগও হয়নি তাদের মেধাতালিকায়। ফলে প্রশিক্ষণ না পেয়েও অনেকে চাকরি পেয়ে যান, কিন্তু ডাক পাননি এই ২১৪ জন। এর জেরেই হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন  স্পেশাল ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরীপ্রার্থীরা। রায় অনুযায়ী ওই ১৫ নম্বর যোগ হলে , তালিকায় অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ওই ২১৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। ফলে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া তৈরি করতে হলে বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
advertisement
হাইকোর্টের রায় জানার পরে পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, রায় মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
অন্যদিকে, এই হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের এই মামলার রায়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ৷ একই রকম ভাবে  নবম দশম ও একাদশ দ্বাদশ শ্রেনির শিক্ষক নিয়োগে বাধ্যতামূলক বিএড। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের অনেকেই স্পেশাল বিএড-এর সার্টিফিকেট রয়েছে ৷ স্পেশাল বি.এড প্রশিক্ষিতদের স্কুল সার্ভিস কমিশন মান্যতা দিতে নারাজ ৷ একই অভিযোগ নিয়ে প্রশিক্ষিতের মান্যতা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এই সব চাকরিপ্রার্থীরা ৷ সেই বিচারাধীন মামলায় আপাতত নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষকপদের ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ আরটিআই অনুমোদিত  স্পেশাল বিএড  প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের স্বীকৃতি দিতে নারাজ বোর্ড। প্রশিক্ষণের মর্যাদা চেয়ে সেই মামলাও বিচারাধীন। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় পরোক্ষ ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশা করছেন মামলাকারীরা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
হাইকোর্টের নির্দেশে বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, বদল আসতে চলেছে নিয়োগ তালিকায়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement