#কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বেড়েই চলেছে।রবিবার ট্যুইট করে এবার প্রশাসনের আধিকারিকদের নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।তারই সঙ্গে ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী কেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল। এদিন ট্যুইট করে তিনি বলেন " রাজ্যের অশুভ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মানুষের যন্ত্রণা লাঘব করতে কাজ করে যাব আমি। আমার মনোভাব তুলোর মত নরম। কিন্তু সেটার ও চাপ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।এখন বলির পাঠা খোঁজার সময় নয়। জনগণের যন্ত্রণা প্রশমিত করতে কাজ করুন। প্রশাসনের বিরক্তিকর আচরণ চলছে। আধিকারিকদের শিরদাঁড়া সোজা করে কাজ করতে হবে। আধিকারিকরা আত্মসমর্পণ করছেন। যারা খোলা সত্যিটা গোপন বলে ভাবছেন তারা নির্বোধ। নিজেরাই জানেন না তাদের স্বরূপ বেরিয়ে পড়েছে।" রবিবার কার্যত ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত কমার কোন লক্ষনই নেই। উল্টে ক্রমশই তা বেড়ে যাচ্ছে। রাজ্যের একের পর এক বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপাল কে। করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে লকডাউন বিধি থেকে শুরু করে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স কার্যকরী না করার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর থেকেই রেশনের কালোবাজারি আবার কখনো কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
দিন কয়েক আগেই রেশন ব্যবস্থা কালোবাজারি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের রাজনীতিমুক্ত হয়ে কাজ করার আবেদন রেখেছিলেন রাজ্যপাল। শনিবারও টুইট করে রেশন ব্যবস্থার কালোবাজারি ঢুকতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে কাজ করার আবেদন রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী পাঠানো চিঠির উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে কড়া ভাষায় লিখেছিলেন রাজ্যপাল। এমনকি কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসানোর সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হলো তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল।
তবে রবিবার কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকে আরো চড়া সুরে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদের আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। এদিন প্রশাসনের বিরক্তিকর আচরণ বলেও টুইট করে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তবে রবিবারের কড়া ভাষায় টুইটের পরে অন্তত রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। SOMRAJ BANDOPADHYAY