হোম /খবর /কলকাতা /
‘‘আমরা চাই, রাজ্যপালের হাতেখড়ি হোক,অন্নপ্রাশন হোক’’-বিজেপি বনাম রাজ্যপাল সংঘাত

‘‘আমরা চাই, রাজ্যপালের হাতেখড়ি হোক, অন্নপ্রাশন হোক’’- বিজেপি বনাম রাজ্যপাল সংঘাত!

Governor and BJP clash continues in West Bengal

Governor and BJP clash continues in West Bengal

'হাতেখড়ির পর অন্নপ্রাশনও হোক, তারপর যেন সরকারি সভায় কেন অভিষেক? এটাও যেন উনি দেখেন'।রাজ্যপালের কাছে আর্জি বঙ্গ বিজেপির। 

  • Share this:

# কলকাতা:  রাজ্যপাল- বিজেপি সংঘাতের আবহ! 'রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সংবিধানের অভিভাবক। তাই তৃণমূলের একজন জনপ্রতিনিধি কি করে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে সরকারি সভা করলেন, সেই বিষয়টা রাজ্যপালকেই দেখতে হবে', বললেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।

ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  রিভিউ মিটিং নিয়ে এবার রাজ্যপালের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল রাজ্য বিজেপি বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। মুখ্যমন্ত্রী  সরকারেরই একজন, কিন্তু তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কিভাবে বিরোধী শিবিরকে নিশানা করে রাজনৈতিক কথাবার্তা বললেন, সরকারি সভা করলেন, তা অবশ্যই দেখা উচিত রাজ্যপালের। আমরা চাইবো হাতেখড়ির পর দক্ষিণেশ্বর যাওয়া ফুরফুরা শরিফও যান। ওনার  অন্নপ্রাশনও হোক।

আরও পড়ুন -   Weather Update: সকাল থেকেই কলকাতায় শিরশিরে ঠান্ডা ফেরত, রাজ্যে রাজ্যে জারি বৃষ্টির অ্যালার্ট

রাজ্যপালের সমস্ত কর্মসূচি শেষ হলে তারপর সরকারি নির্দেশে সরকারি অনুষ্ঠানে কি করে একজন সাংসদ রিভিউ মিটিং করলেন সেই বিষয়টাও উনি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন'। কার্যত কটাক্ষের সুরে এমনটাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিজেপি শিবির বলছে,' তাঁর  দলের মালিকানা তাঁর কাছে থাকতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরাধিকার হতে পারেন। কিন্তু জেলাশাসক সহ রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা তাঁর বৈঠকে চলে যাবেন এটা কি করে সম্ভব। রাজ্যপাল কি করছেন? এই প্রশ্নও তুলছে পদ্ম শিবির। শমীক ভট্টাচার্যের কথায়,' ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সভার পর এই সরকারের আর এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই'।

আরও পড়ুন -  Kolkata International Book Fair: আজ থেকে শুরু বইমেলা, কোথায় আসর, কতদিন চলবে, রইল সব খুঁটিনাটি

শাসক দল আর সরকারের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে  তুলে শমীকের দাবি, আমাদের রাজ্যের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মুখ্য সচিব একজন জনপ্রতিনিধির জন্য সভার আয়োজন করছেন। যিনি সরকারের কেউ নন। এরপরেও যদি রাজ্যপাল চুপ করে থাকেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠবে। তাই আমরা চাই, রাজ্যপালের হাতেখড়ি হোক। অন্নপ্রাশন হোক। সেই সঙ্গে রাজ্যপাল, সরকারি উদ্যোগে জনপ্রতিনিধির সভার আয়োজনের বিষয়টাও দেখুন। সাংবিধানিক কাঠামোর ক্ষেত্রে নজিরবিহীন সভার আয়োজন আগামী দিনের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক'।

অতীতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জগদীপ ধনকড়ের আমলে রাজভবনকে বিজেপির সদর দফতর কিম্বা কখনও রাজ্যপালকে পদ্ম পাল বলেও কটাক্ষ করতে দেখা খেছে। আর এবার জোড়া ফুল শিবিরের পাল্টা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আমলে অনেকটা একই রকম সুর শোনা যাচ্ছে পদ্ম ফুল শিবিরের গলায়। মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তাহলে কি রাজ্যপাল এবং বঙ্গ বিজেপির মধ্যে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের? এই প্রশ্ন নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে।

Venkateswar Lahiri
Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: BJP, C V Ananda Bose