কলকাতায় সরকারি বাসের জন্য দীর্ঘ লাইনে চূড়ান্ত নাকাল যাত্রীরা, অবিলম্বে বেসরকারি বাস চলার দাবি

Last Updated:

এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস পরিষেবা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে পরিবহন দফতরকে সাফ জানিয়ে দেন মালিকদের সংগঠন। যার জেরে পথে সরকারি বাসের দেখা মিললেও বেসরকারি বাস পুরোপুরি বন্ধ থাকে । চরম হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের ।

#কলকাতা: লাইন আছে। কিন্তু বাস নেই। এ ছবি উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার সর্বত্র প্রত্যক্ষ করলেন যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার পরও বাসে ওঠার সুযোগ হল না অনেকেরই। বাধ্য হয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েও  দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হল অনেক যাত্রীকেই। একদিকে সরকারি বাসের দেখা নেই অন্যদিকে  বাস ধরতে আসা যাত্রীদের লাইন সময় যত গড়াচ্ছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।  ক্ষুব্ধ যাত্রীদের কথায়,  সরকারি বাস পরিষেবার পাশাপাশি বেসরকারি বাস যতক্ষণ না পর্যন্ত রাস্তায় নামছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই যাত্রী হয়রানি চলতেই থাকবে। আমরা চাই অবিলম্বে বেসরকারি বাসও রাস্তায় নামানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক রাজ্য পরিবহন দফতর।
এরকমই একজন যাত্রী অর্পিতা দাস। সোমবার থেকে শহরে সরকারি বাস ঘনঘন মিলবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পর সকাল সাতটার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডানলপে  আসেন বাস ধরতে। তাঁর গন্তব্য দক্ষিণ কলকাতা৷ এসে যে ছবি প্রত্যক্ষ করলেন তা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ ওই যাত্রীর। বাস ধরতে আসে যাত্রীদের লাইনের শেষ কোথায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না অর্পিতা। তাও ধৈর্য ধরে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ান তিনি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও লাইনের মুখে পৌঁছাতে ঢের দেরি দেখে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যান তিনি।
advertisement
সরকারি নির্দেশিকা মেনে একটি বাসে কুড়ি জন যাত্রীর বেশি ওঠার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনেই সময় কেটে যাচ্ছিল । তাঁর দাবি, এমনিতেই কলকাতার যা জনসংখ্যা সেই তুলনায় সরকারি বাস কিংবা বেসরকারি বাস মিলিয়েও যাত্রীদের চাপ থেকেই যায়। তাই অবিলম্বে সরকারের উচিত বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু করার । স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী হয়রানির শিকার হতে হয় অনেককেই । তার ওপর যদি বর্তমানে বেসরকারি বাস  একটিও রাস্তায় না নামে তাহলে যে কী করুণ অবস্থা হবে তা সোমবারই হাড়ে হাড়ে টের পেলেন যাত্রীরা ।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত  রাজ্য সরকারের তরফে বেসরকারি বাস পরিষেবা শুরুর কথা  বলা হলেও  বাস মালিকরা বেঁকে বসেন ভাড়া নিয়ে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন একটি বাসে সামাজিক দূরত্বের কথা ভেবে মাত্র কুড়ি জন যাত্রী নিয়ে পুরোনো ভাড়ায় বাস পথে নামানো কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। বাস মালিকদের তরফে লোকসানের  প্রসঙ্গ টেনে  সরকারের দ্বারস্থ হলে রাজ্য সরকার ভাড়ার বিষয়টি বর্তমান সময়ে মালিকদের ওপরই  ছেড়ে দেয়। মালিকদের সংগঠন আলোচনা ক্রমে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেন। কিন্তু পরিবহন দফতর যে ভাড়ার তালিকা বাস মালিকরা করেছেন তাতে আপত্তি জানায়। পরিবহন দফতরের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও ভাড়া বাড়ানো যাবে না। আর এরপরই বেসরকারি মালিকরা রাস্তায় বাস নামানোর ব্যাপারে বেঁকে বসেন।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বাস পরিষেবা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে পরিবহন দফতরকে সাফ জানিয়ে দেন মালিকদের সংগঠন। যার জেরে পথে সরকারি  বাসের দেখা মিললেও  বেসরকারি বাস পুরোপুরি  বন্ধ থাকে । চরম হয়রানির শিকার  হতে হয় যাত্রীদের । সোমবার এরকম অভিজ্ঞতা হল কলকাতা শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের হাজার হাজার যাত্রীর। সোমবার থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার জেরে অনেকেই অফিস যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন আবার কেউ বাইরে যান নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে। তবে  বাসের দেখা না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। অনেকের দাবি সরকারের তরফে বিভিন্ন রুটে ঘনঘন বাস চালানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারি বাসও অমিল। যাত্রীদের দাবি, 'অবিলম্বে ভাড়ার বিষয়টি আলোচনাক্রমে বেসরকারি বাস পরিষেবা যাতে শুরু হয় সে ব্যাপারে সরকাার দৃষ্টি আকর্ষণ করুক'। নচেৎ এই হয়রানি আগামী দিনে আরও  বাড়বে বলেই আশঙ্কা নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীদের।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কলকাতায় সরকারি বাসের জন্য দীর্ঘ লাইনে চূড়ান্ত নাকাল যাত্রীরা, অবিলম্বে বেসরকারি বাস চলার দাবি
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement