হোম /খবর /কলকাতা /
খাস কলকাতায় ভেজাল সিমেন্টের কারখানা, ঠকছেন ক্রেতারা! কিছুই জানে না প্রশাসন?

Fake Cement in Kolkata: খাস কলকাতায় ভেজাল সিমেন্টের কারখানা, ঠকছেন ক্রেতারা! কিছুই জানে না প্রশাসন?

ভেজাল সিমেন্ট কারখানায় পুলিশের হানা৷

ভেজাল সিমেন্ট কারখানায় পুলিশের হানা৷

এলাকার মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এই জাল সিমেন্টের কারবার। সোমবার সকালেও কারখানায় আচমকা হানা দিয়ে দেখা গেল, জাল সিমেন্ট প্যাকিংয়ের কাজ চলছে৷

  • Share this:

#কলকাতা: খাস কলকাতার বুকে মিলল জাল সিমেন্ট চক্রের হদিশ। তাও আবার উত্তর কলকাতার জমজমাট এলাকা শ্যামবাজারের ভবনাথ সেন স্ট্রিটে। অভিযোগ, ওই কারখানায় নামী দামি সিমেন্টের বস্তায়জাল সিমেন্ট ভরা হত।

এলাকার মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এই জাল সিমেন্টের কারবার। সোমবার সকালেও কারখানায় আচমকা হানা দিয়ে দেখা গেল, জাল সিমেন্ট প্যাকিংয়ের কাজ চলছে৷ গোডাউনের সামনে যেতেই পালিয়ে যায় সব কর্মী। ওই সিমেন্টের গোডাউনটি ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো।  অভিযোগ, চক্রের পান্ডা তপন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন আগে সিমেন্ট উৎপাদন সংক্রান্ত একটি লাইসেন্স তৈরি করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই লাইসেন্স দেখিয়েই অভিযুক্ত জাল সিমেন্টের চক্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।এলাকাবাসীর অভিযোগ, সকালবেলা ওই গোডাউনে পুলিশি অভিযান হলে সন্ধ্যাবেলা আবার কারখানা খুলে যায়।

ওখানে যারা কাজ করছিল,তাদের মধ্যে দু' একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, জমাটবাঁধা সিমেন্ট পিষে গুঁড়ো করে নিয়ে অন্যান্য কিছু মিশিয়ে ভেজাল সিমেন্ট তৈরি কর হয়। যখন যে খরিদ্দার যে ব্র্যান্ডের সিমেন্ট চান, তাঁকে সেই ব্র্যান্ডের সিমেন্টের বস্তায় ভরে ভেজাল সিমেন্ট বিক্রি করা হয়।

আরও পড়ুন: এসএসকেএম দুর্দান্ত হাসপাতাল, ভূয়সী প্রশংসায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়! কী ঘটল হঠাৎ?

বর্তমানে নামী সিমেন্টের বাজার দর ৪১০ টাকা বস্তা। একশ্রেণির অসাধু খুচরো বিক্রেতারা এই কারখানা থেকে তিনশো টাকায় বস্তা  কিনে ক্রেতাদের আসল সিমেন্টের দামেই এই ভেজাল সিমেন্ট বিক্রি করে বলে অভিযোগ।  রিতা বসু নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সিমেন্টের ধুলো থেকে স্থানীয় মানুষেরও সমস্যা হচ্ছে।কিন্তু এই চক্র এতটাই প্রভাবশালী যে, সহজে এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন সবাই।

শুধু শ্যামবাজার নয়, উল্টোডাঙ্গা থানার পাশের গলিতেও জাল সিমেন্টের রমরমা কারবার চলছে বলে অভিযোগ।এই জাল সিমেন্ট নিয়ে রাজপুরের লক্ষ্মী গণেশ নামে এক যুবক বাড়ির ঠিকাদারি ব্যবসা করতে গিয়ে ঠকে যায়। সেই বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে যাওয়ার পর, সেই যুবক আত্মহত্যা করেছিল। ওই যুবক জাল সিমেন্ট নিয়েছিল রাজপুরের নিমাই মণ্ডল নামে এক ইমারতী দ্রব্যের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে।

মানুষ সাধের বাড়ি বানান কষ্টের সঞ্চয়ে। আর সেই সঞ্চয়ই ক্ষতির মুখে পড়ে, জাল সিমেন্টের দৌলতে।  সোমবার খবর পেয়ে টালা থানার পুলিশ  ঘটনাস্থলে এলেও থানাকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি ওই সিমেন্ট চক্রের বিরুদ্ধে।

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Cement