বাস স্ট্যান্ডের বাড়তি জমি এবার ভাড়া দেওয়া হবে দোকান ও পার্কিংয়ের জন্য

Last Updated:

যাত্রা শুরু "নাগরিক" এর। কী কী থাকছে? কোন কোন বাস চলবে? জেনে নিন..... 

#কলকাতা: বাস স্ট্যান্ডে পড়ে থাকা বাড়তি জায়গা এবার বাণিজ্যিক কাজে ভাড়া দিতে শুরু করছে রাজ্য পরিবহন দফতর। নয়া সাজের "নাগরিক" বাসস্ট্যান্ড উদ্বোধন করে সেই প্রকল্প চালু করা হল। ধাপে ধাপে রাজ্যের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে এই ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে। মুলত দোকান ও ছোট গাড়ি পার্কিং এর জন্য জায়গা ভাড়া দেওয়া হবে।
২০০০ সাল থেকে বেঙ্গালুরু মিউনিসিপ্যাল ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন তাদের জায়গা বাণিজ্যিক কারণে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবহণ ক্ষেত্রে এর ফলে কোটি টাকা আয় হয় তাদের। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্য পরিবহন দফতর তাদের ভরতুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তিন রাজ্য পরিবহন নিগমকে জুড়ে দেওয়া হয়। আলাদা করে রুট ডিভিশন করা হয় দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন নিগম ও উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের।
advertisement
এছাড়া স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প-সহ একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যদিও পুরোপুরি ভরতুকি বন্ধ হয়নি। তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাস স্ট্যান্ড আধুনিকীকরণ করে সেখানে বাণিজ্যিক ভাবে জায়গা ভাড়ায় দেওয়া হবে। গড়িয়া ৬ নম্বর বাস স্ট্যান্ড বা "নাগরিক" বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করে তা চালু করে দেওয়া হল। গোটা বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে বিমানবন্দরের ধাঁচে। র‍্যাম্প আছে দুটি। যা দিয়ে ছোট গাড়ি ওপরে উঠে যেতে পারবে। প্রায় ৫০ টি ছোট গাড়ি সেখানে রাখা যাবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হচ্ছে।
advertisement
advertisement
এখান থেকেও আয় করবে রাজ্য সরকার। পরিবহন দফতর আশাবাদী, এই ভাবে তারা কয়েক কোটি টাকা আয় করতে পারবে। গড়িয়ার এই বাস স্ট্যান্ড তৈরি করেছে ম্যাকিনটশ বান। ১০ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা দিয়ে ভোল বদল করা হয়েছে এই বাস স্ট্যান্ডের। এখান থেকে প্রতিদিন মিলবে, এসি ৫০ যা গড়িয়া থেকে বেলুড়মঠ যাবে। এসি ৫০এ যা গড়িয়া থেকে রাজচন্দ্রপুর যাবে। এসি ৩৭ যা গড়িয়া থেকে বারাসত যাবে। এসি ৩৭এ যা গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর যাবে। এসি ৬ যা গড়িয়া থেকে হাওড়া স্টেশন যাবে। এছাড়া নন এসি বাসও পাওয়া যাবে। এস৩৭ যা গড়িয়া থেকে বারাসত যাবে। এস ১৪ যা গড়িয়া থেকে করুণাময়ী যাবে। এস ৭ যা গড়িয়া থেকে হাওড়া স্টেশন যাবে। এস ২১ যা গড়িয়া থেকে বাগবাজার যাবে। শহরের পাশাপাশি মিলবে গড়িয়া থেকে দীঘা যাওয়ার এসি ও নন এসি বাস। গড়িয়া থেকে মেদিনীপুর ভায়া এসপ্ল্যানেড ও করুণাময়ীর বাস। গড়িয়া থেকে আসানসোল যাওয়ার জন্য বাস এসপ্ল্যানেড ও করুণাময়ী হয়ে। দক্ষিণের যাদবপুর, করুণাময়ী এবং গড়িয়া, রাজ্য পরিবহণ দফতর এই তিনটি বাস টার্মিনাসকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছিল। যাদবপুর টার্মিনাস আগেই চালু হয়েছে। এ বার গড়িয়ার বাস টার্মিনাসটি চালু করে দেওয়া হল ।
advertisement
নতুন এই বাস স্ট্যান্ডে থাকছে, আধুনিক মানের পার্কিং লট, প্রতীক্ষালয়, রেস্তরাঁ, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, শৌচালয়— সবই থাকছে এখানে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগমের পাশাপাশি এখান থেকে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের দূরপাল্লার বাসও ছাড়বে।পরিবহণ দফতরের মতে, গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড হিসেবে গড়িয়ার গুরুত্ব গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। কাছাকাছি বেসরকারি বাসস্টপও রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ যাত্রী গড়িয়া থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। হাওড়া-সহ বেশ কয়েকটি রুটের নাইট সার্ভিস পাওয়া যায় এখান থেকে। বাস স্ট্যান্ডের কাছেই আছে মেট্রো স্টেশন। ফলে সকলের পরিচিত ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডকে টার্মিনাসে বদলের প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা।
advertisement
পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যাত্রীদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই বিমানবন্দরের ধাঁচে ডিজাইন করা হল এই টার্মিনাসটির। ঝাঁ চকচকে লাউঞ্জে আছে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। হাল্কা গান বাজানো হবে লাউঞ্জের সর্বত্র। দোতলা টার্মিনাসের উপরের তলায় থাকছে গাড়ি এবং মোটরবাইক রাখার জায়গা। বিমানবন্দরের মতো উপরের টার্মিনাসের পার্কিং লটে উঠে যেতে হবে লম্বা র‌্যাম্প পেরিয়ে।এছাড়া যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, আধুনিক অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা, ইলেকট্রিক বাসের চার্জিং স্টেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির জন্য থাকছে আধুনিক সার্ভিস স্টেশন। পুরো প্রক্রিয়াটিকে পরিবেশ বান্ধব করতে টার্মিনাসে বসানো হয়েছে সৌর বিদ্যুতের প্যানেলও। যেখান থেকে সরাসরি গ্রিডে বিদ্যুৎ জোগান দেওয়া যাবে। ফলে সমগ্র বাস টার্মিনাসের বিদ্যুৎ খরচও অনেকটা কমে যাবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর ধাপে ধাপে রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাস স্ট্যান্ড গুলি এভাবেই বদলে ফেলা হবে।
advertisement
Abir Ghosal
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
বাস স্ট্যান্ডের বাড়তি জমি এবার ভাড়া দেওয়া হবে দোকান ও পার্কিংয়ের জন্য
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement