#কলকাতা: কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ওই ঘটনার সবিস্তার পর্যবেক্ষণ এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে মামলা সিবিআইকে দেওয়া প্রয়োজন বলে আদালত মনে করছে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং বিজেপি। আদালতের এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তবে সঠিক তদন্ত না হলে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।
তবে এই রায়ের পরই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আদালতের রায় মেনে নেওয়ার পরও যখন মন্তব্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল, ঠিক তখনই সিবিআই ইস্যুতে ফের রাজ্য প্রশাসনকে ফের কটাক্ষ প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। প্রশাসনকে প্রশ্নের মুখে রেখে দিলীপ ঘোষের ট্যুইট, "নারদা-সারদা মামলা থেকে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় তদন্তের জন্য রাজ্যের তরফে এসআইটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও মামলারই সঠিক কিনারা করতে পারেনি। প্রকারান্তরে এর পরেও বিরোধীদের দ্বারস্থ হতে হয়েছে আদালতের।"
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে কি সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য? আগেভাগেই বড় সিদ্ধান্ত দুই মামলাকারীর! যা করলেন...
বগটুই কাণ্ডে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও দিলীপের কটাক্ষ, 'মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের। তার থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যক্ষভাবে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে।' আর এরপরেই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। যদিও বিজেপির এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল জানান, "রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিট গঠন করেছে। গ্রেফতার চলছে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আমরা আদালতের রায়ের বিরোধিতা করব না। বরং সহযোগিতাই করব। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরি, নন্দীগ্রাম গণহত্যা, হাথরস, উন্নাও, লখিমপুর, অসম গণহত্যার মতো কোনও মামলারই নিষ্পত্তি হয়নি।"
Sourajyoti Banerjee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP Dilip Ghosh