#কলকাতা: পয়লা বৈশাখের বিকেলে ঠিক যেন যুযুধান দু'পক্ষ। এক পক্ষ বলছে, বাংলাই শিল্পের নিরাপদ ডেস্টিনেশন আর অপর পক্ষ বলছে, অরাজকতার শেষ সীমায় বাংলা। দু'বছরের করোনা ক্লান্ত বৈশাখ থেকে এবার যেন মুক্তি পেয়েছে বাঙালি। আর সেই সূত্রেই পয়লা বৈশাখে বাইপাস ছোঁয়া রাজকুটীরে বসেছিল নিউজ 18 বাংলা-র Bengal Conclave 2022, যে তারকাখচিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই অনুষ্ঠান থেকেই দিন কয়েক পরই কলকাতায় বসতে চলা বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মন্ত্রী। বলেছেন, ''বাংলাই একমাত্র নিরাপদ বিনিয়োগের জায়গা।'' অপরদিকে, ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও (Dilip Ghosh)। তিনি অবশ্য সরকারকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি।
বাংলায় শিল্পের ভবিষ্যৎ কী? বিরোধীদের কাছে এটা তো বড় ইস্যু? প্রশ্ন পাড়তেই দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, ''দেখুন ব্রিটিশ আমল থেকেই শিল্পের জন্য বাংলাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একটা সময়ের পর এটা আর রইল না। স্বাধীনতার পর থেকেই এই অবক্ষয় শুরু হল। কংগ্রেস আমল চলে যাওয়ার পর সিপিএম আমলে তা আরও খারাপ হল। তাও দু-একটা যাও ছিল, তৃণমূল সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।''
দিলীপের সংযোজন, ''দেখুন পশ্চিমবঙ্গে জমির সমস্যা আছে। কিন্তু জমি অনেক পড়ে আছে। দুর্গাপুর, খড়গপুর, পুরুলিয়া সব জায়গায় ফাঁকা জমি পড়ে আছে। সরকারকে আগে ল্যান্ড ব্যাংক করতে হবে। কেউ যদি জমি চায়, সঙ্গেসঙ্গে যেন ২০০ -১০০ একর জমি দিতে পারি আমরা। গুজরাত করতে পারলে আমরা কেন পারব না? গত দশ বছরে কিছু হয়নি এখানে। কলকাতার জন্য আরও একটা এয়ারপোর্ট চাই। তাহলে তো লোকে বুঝবে এখানে শিল্পের জন্য সঠিক পরিবেশ আছে।''
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্মেলনে থাকছে বিরাট চমক, আসছেন বড় নাম! News 18-এ জানালেন ফিরহাদ হাকিম
আপনারা কি গঠনমূলক বিরোধিতা করছেন নাকি শাসক দল যা বলছে, শুধুই কুৎসা করছে বিরোধীরা, সেটা কি সত্যি? দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, ''দেখুন বিরোধিতা তো থাকবেই। বাঙালিরা বিরোধিতা করতে জানে। স্বাধীনতার জন্যও বাঙালি প্রাণ দিয়েছে। এটা বাঙালির চারিত্রিক দিক। তবে, শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে গঠনমূলক বিরোধিতাই হওয়া উচিৎ। সিপিএম ভুল করেছিল শিল্পনীতিতে, শিল্প যদি চলে যায়, কী বার্তা যাচ্ছে? এই সরকার শিল্পের বিরোধী। সিপিএমের মতোই তৃণমূলের গায়েও শিল্পবিরোধী তকমা লেগে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার থেকে ভালো নয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বলে কেন্দ্রের দয়ায় বেঁচে আছে। নাহলে এখানেও অর্থনৈতিক দেউলিয়া হওয়ার মতো অবস্থা।''
আরও পড়ুন: বাবুল-শত্রুঘ্ন নাকি চমক দেবেন অগ্নিমিত্রা-কেয়া'রা? উত্তর আজ বালিগঞ্জ-আসানসোলে
রাজ্যে আপনারা ৩৫৬ ধারা চাইছেন, সেই দাবি কতটা কার্যকর হওয়া সম্ভব? কিছুটা সুর নামিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। রাজ্যপাল আছেন, কেন্দ্রীয় সরকার আছে, রাষ্ট্রপতি আছেন, আমরা সাধারণ মানুষের জন্য এই দাবি তুলছি। দিকেদিকে ধর্ষণ, বাচ্চা মেয়েরাও ছাড় পাচ্ছে না, বিরোধীদের খুন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীও যা বলছেন, তাতে তাঁর সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তাই আমাদের এই সব দাবি তুলতেই হচ্ছে।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।