Depression And Handwriting: হাতের লেখা দেখে বোঝা যায় মানসিক অস্থিরতার হদিস! দেখে বুঝুন হাতের লেখা...
- Published by:Sanjukta Sarkar
- Written by:SUSOBHAN BHATTACHARYA
Last Updated:
Depression And Handwriting: আত্মহত্যার পথ বেছে নেবার আগে হাতের লেখাই বাঁচাতে পারবে বলে মনে করছে একটি সংস্থা
কলকাতা: হাতের লেখা বলে মনের কথা, এবার সেই হাতের লেখায় বোঝা যাচ্ছে মানসিক অবস্থার কথা। শহরে বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা রোজই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় না সুইসাইড নোট, তবে তদন্তের শেষে জানা যায় মানসিক অবসাদের জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিশের তদন্তে বর্তমানে অনেক সময় সুইসাইড নোট উদ্ধার করে সাহায্য নেওয়া হয় হস্তলেখাবিদদের, তবে সেই তদন্তের শুরু হলেও ফিরে পাওয়া যায় না মৃত ওই ব্যক্তিকে। মনোবিদদের মতে মানসিক অবসাদে তৈরি হয় সবার অজান্তেই অনেকদিন আগে থেকেই। তবে তার প্রথম লক্ষণ জনসমক্ষে আসতে পারে ওই মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির হাতের লেখা দিয়েই!
শুনতে অবাক লাগলেও গ্রাফোলজিদের মতে হাতের লেখা দেখে প্রায় এক বছর আগেই বোঝা যায় মানসিক অস্থিরতার কথা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনার আগে ও পরে বেড়েছে আত্মহত্যার সংখ্যা, বেশিরভাগক্ষেত্রেই তরুণ প্রজন্ম তাঁর শিকার হচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তবে হাতের যে কোনও লেখার বক্তব্যের মধ্যেই বোঝা যায় ব্যক্তির মানষিক অস্থিরতার কথা।
advertisement
advertisement
বর্তমান সময়ে হাতের লেখা দেখে অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে মত Kolkata Institute of graphology নামক একটি সংস্থার। মোহন বোস, Kolkata Institute of graphology, director এর মতে, করোনার আগে ও পরে এই সংখ্যাটা যেভাবে বাড়ছে, অবাক করা। হাতের লেখা শুধু মানষিক অস্থিরতা নয় শারীরিক সমস্যার কথাও ফুটিয়ে তোলে। শহরের এক নামী স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকাও মেনে নিলেন এই সাফল্যের কথা। একটি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর স্কুলে না যাওয়ায় তার নোটবুক আনতে বলেছিলেন ওই প্রাক্তন শিক্ষিকা। পরবর্তীকালে তার হাতের লেখা দেখে ফের স্কুলমুখী করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি ওই শিক্ষিকার। ওই ছাত্রীর বাড়ির পরিচালিকার অত্যাচারের কথা কোন ব্যাক্তিকে না বলতে পেরে মানসিক অবসাদের বিষয় উঠে আসে, তবে হাতের লেখার দ্বারা সমস্যার সমাধানের কথা জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ মালিনী ভগত।
advertisement
একইভাবে কলকাতার অজয়নগরের এক তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর পারিবারের একটি আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ তদন্তের পরে মানসিক অবসাদের কথা প্রমাণ হয়। পরে তার ছোট ছেলের হাতের লেখা দেখে মানসিক অস্থিরতা কথা জানা মাত্রই হাতের লেখার দ্বারা পরিবর্তন করা হয় মানসিক অবসাদ।
advertisement
দীপঙ্কর সেনগুপ্ত পেশায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী হলেও তার মন্তব্য, ছোট ছেলের হাতের লেখা দেখা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য মেলায় মানসিক সমস্যা নেই বলে দাবি ওই ব্যাক্তি। শুধু মনোবিদ নয়, হাতের লেখা দেখেও মানসিক অস্থিরতার কথা জেনে সমস্যার সমাধান করা যায় ও করোনার সময় প্রায় ৪৬ জনকে আত্মহত্যার পথ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে দাবি এই সংস্থার।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 22, 2023 9:28 PM IST