#কলকাতা: রাস্তার কাজে দুর্নীতি। শো কজ করে শুধু থেমে থাকা নয়। একই সঙ্গে আগামী তিন বছর রাস্তার দেখভালের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল ওই ঠিকাদার সংস্থার হাতেই।
কামালগাজি থেকে বারুইপুর অবধি রাস্তা তৈরির কাজে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। অভিযো,গ আদি গঙ্গার ধারে প্রোটেকটিভ ওয়াল বানাতে ১৬ ফুটের শাল বল্গার বদলে পোঁতা হয়েছিল কোথাও ৪, কোথাও ৫ ফুট শাল বল্গা। শেষমেষ অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কলকাতা মেট্রোপলিট্যান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।
কেএমডিএ-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পার্থ সারথি ঘোষ জানিয়েছেন, "আমাদের শো-কজের জবাবে ঠিকাদার সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কাজের ভুল হয়েছিল। আমাদের উপস্থিতিতেই সব শাল বল্গা তুলে ফেলা হবে। এরপর আমরা নতুন করে ডিজাইন বা নকশা বানিয়ে দেব। তারপর রাস্তার পাশে ওই প্রোটেকটিভ ওয়াল বানানো হবে।"
আপাতত কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আদি গঙ্গার ধারে যে সমস্ত শাল বল্গা পোঁতা হয়েছিল, তার বেশ কয়েকটি তুলে ফের পরীক্ষা করল কেএমডিএ। সে কারণে আপাতত আদি গঙ্গার ধারে প্রোটেকটিভ ওয়াল তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ করা হল।
কামালগাজি বাইপাস সংষ্কারের কাজ শুরু করেছিল কেএমডিএ। সেই কাজ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের তরফ থেকে অভিযোগ আসে, ৫ মিটারের বদলে মাত্র ১ মিটার করে শাল বল্গা পোঁতা হচ্ছে আদি গঙ্গার ধারে। এই কাজ হলে দু'মাসের মধ্যেই রাস্তা ধসে যাবে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।
সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার মাণিকপুর গ্রামে যান কেএমডিএ আধিকারিকরা। তাদের উপস্থিতিতেই ধরা পড়ে এই অবস্থা। ঠিকাদারি সংস্থার শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। যদিও গ্রামবাসীরা নিজেরাই শাল বল্গা তুলে দেখান কেএমডিএ-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের। সেখানে ধরা পড়ে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ সত্যি। ফলে কেএমডিএ সিদ্ধান্ত নেয়, আপাতত রাস্তার প্যাচ ওয়ার্ক সহ বাকি কাজ চললেও, আদি গঙ্গার ধারে প্রোটেকটিভ ওয়াল বানানোর কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে।
যে অভিযোগ এসেছে, সেই অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাজ হবে কিনা৷ সেই কারণেই আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার কেএমডিএ রোড বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শাল বল্গা তোলার কাজ শুরু হল।
কামালগাজি থেকে বারুইপুর অবধি ৯ কিমি রাস্তার ধারে একাধিক জায়গায় শাল বল্গা রাখা আছে। ৯ কিমি অংশে বহু জায়গায় শাল বল্গা বসানোর কাজ হয়েও গেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ঠিকাদারি সংস্থা সর্বত্র একই কাজ করে রেখেছে। ফলে সব শাল বল্গা তুলে পরীক্ষা করা উচিত। তার পরে ফের না হয় নতুন করে কাজ শুরু করা যাবে। এর ফলে আগামী এক বছরের মধ্যে যা কাজ শেষ করার কথা ছিল তা দেরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ABIR GHOSHAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corruption, KMDA, Kolkata