লকডাউনে ভাল থাকুক সারমেয়রা, রাস্তায় নেমে তাদের যত্ন নিচ্ছেন সোহিনী

Last Updated:

অবলা জীবদের জন্য এই অসময়ে নিরলস সেবা দিয়ে চলেছেন সোহিনী অধিকারী।

#কলকাতা: করোনা ওদের ভুলেও ছোঁয় না। করোনা কী তা ওরা জানেও না। মার্চ, এপ্রিল কাটিয়ে মে তেও তাই ওরা অভুক্ত। পেটের খিদে পুষে লড়াই জারি রয়েছে ওদের । বিশ্ব জুড়ে চলা করোনা সঙ্কট ওদের চোয়াল গুলোকে আরও শক্ত করতে শিখিয়েছে। তাই এই অচলাবস্থায় সারমেয়দের মনের কথা বোঝে ক'জন। কলকাতা, সল্টলেক মিলে হাজার হাজার সারমেয় মুখে আজ কোনও খাবার নেই। মার্চ এপ্রিল পর মে। লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে গরম। লকডাউনে হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ। উচ্ছিষ্ট খেয়ে যাদের দিন যাপন তারাই আজ লকডাউনে দিশেহারা। শহরের পিচ রাস্তার দুধারে, অফিস পাড়ার আনাচে কানাচে এখনও সুদিনের আশায় দিন গোনে চতুষ্পদীরা। অবলা জীবদের জন্য এই অসময়ে নিরলস সেবা দিয়ে চলেছেন সোহিনী অধিকারী।
সারমেয়দের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি করেছেন জলের ব্যবস্থাও। সল্টলেকের বাসিন্দা সোহিনী, রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন আইনমন্ত্রী নিশীথ অধিকারী'র পুত্রবধূ। সারমেয় ভালোবাসতেন নিশীথ বাবুও। সারমেয়দের অসময়ে তাদের মুখে খাবা তুলে দিচ্ছেন সোহিনী অধিকারী। ২২ মার্চ থেকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি। সারমেয়দের মেন্যুতে থাকছে কাঁটা চচ্চড়ি, ডিম ভাত। সারমেয়'রা নুন একেবারেই পছন্দ করেনা। হলুদ নৈব নৈব চ। ভাতের সঙ্গে কাঁটা চচ্চড়ি মেখে তা পরিবেশন করছেন সোহিনী। ডিমের ঝোলেও নুন হলুদ ছাড়া, তবে একটু আলু চলতে পারে। রোজ ৫০ সারমেয় খাবার নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে সোহিনী অধিকারীরা। পেট অ্যাম্বুলেন্স বানিয়েছেন সোহিনী দেবী পরিচিত সুবর্ণ গোস্বামী। অসুস্থ, আহত সারমেয় দের চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে পেট অ্যাম্বুল্যান্স।
advertisement
advertisement
খাবারের সঙ্গে গরমে জলের অভাব কাটাতে সল্টলেক এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় মাটির ভাঁড়, পাত্র বসিয়েছেন। প্রতিদিন নিয়ম করে সেই পাত্রে জল পৌঁছে দিচ্ছেন গাড়ি করে। সোহিনী অধিকারী ও সুবর্ণ গোস্বামীর অক্লান্ত পরিশ্রমে মে প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ২৫০০ বেশী সারমেয় মুখে খাবার এবং তেষ্টা মেটানোর জন্য জল পৌঁছে দিয়েছেন। খাবার তুলে দিয়েও খুশি নন সোহিনী অধিকারী। তাঁর কথায়, " রাস্তার সারমেয়রা তাও খুঁটে খুঁটে কিছু খাবার জুটিয়ে ফেলছে। খারাপ অবস্থা অফিস পাড়ার সারমেয় গুলির। বিভিন্ন অফিসের ক্যান্টিন ছিল তাদের খাবারের উৎস। লকডাউন এগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা তীব্র সমস্যায় পড়েছে। অফিস চৌহদ্দির মধ্যে থাকতেই অভ্যস্ত তারা, তাই রাস্তায় বেরোতে সাহস পায় না। "
advertisement
স্যারমেয়দের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার খরচ রয়েছে, তার সংস্থান করেন কীভাবে। সোহিনী'র উত্তর, ' নিজে আইনজীবী। হাইকোর্ট, ব্যাঙ্কশাল কোর্ট,আলিপুর আদালত মিলিয়ে প্রচুর আইনজীবীরা সাহায্য করছেন। কেউ চাল তো কেউ অর্থ সাহায্য করছেন।" বিশেষ কৃতিত্ব দিচ্ছেন সুবর্ণ গোস্বামীকে, যার সাহায্য ছাড়া লকডাউনের এতগুলো দিন সারমেয় দের পাশে দাঁড়ানো অসম্ভব ছিল, বলছেন সোহিনী অধিকারী।
advertisement
ARNAB HAZRA
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
লকডাউনে ভাল থাকুক সারমেয়রা, রাস্তায় নেমে তাদের যত্ন নিচ্ছেন সোহিনী
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement