হোম /খবর /কলকাতা /
তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে’’- বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

‘‘পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে’’- বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

, সামনে পঞ্চায়েত  ভোট। এক দিনে ৬৩ হাজার বুথে ভোট করতে হলে দেড় লক্ষ পুলিশ কর্মী দরকার।

, সামনে পঞ্চায়েত  ভোট। এক দিনে ৬৩ হাজার বুথে ভোট করতে হলে দেড় লক্ষ পুলিশ কর্মী দরকার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাজার হাজার ছেলে মেয়ে নিয়োগের জন্য অপক্ষা করে বসে রয়েছে। কবে চাকরি হবে। আর এঁরা আজ করছি, কাল করছি বলে দিন কাটাচ্ছে।’’তিন মাসের মধ্যেই পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী র। লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশের ঘাটতি মেটানো? জল্পনা।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় পুলিশ নিয়োগের প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিলেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন,নব নিযুক্তি পুলিশ কর্মীদের টানা তিন মাস নয়,মাসে সাত দিন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাকি একুশ দিন তাদের দিয়ে থানায় কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। এদিন সভায় কমর্সংস্থানে স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রসঙ্গে রাজ্যে পুলিশে নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনিক গড়িমসিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘হাজার হাজার ছেলে মেয়ে নিয়োগের জন্য অপক্ষা করে বসে রয়েছে। কবে চাকরি হবে। আর এঁরা আজ করছি, কাল করছি বলে দিন কাটাচ্ছে। যেন লাথাকরজেটিক ক্যাজুয়ালনেস মনোভাব। পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, তিন মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন আর পুলিশ কর্মীদের নিয়োগের পর প্রশিক্ষণের নামে তিন মাস-ছয় মাস বসিয়ে রাখা যাবে না। বরং একটা সিস্টেম চালু করতে হবে,তাঁদের থানায় পাঠাতে হবে। মাসে সাত দিন করে ডেকে এনে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ২১ দিন থানাতে তাঁদের দিয়ে কাজ করাতে হবে। এই মুহূর্তে ফোর্স বাড়াতে হবে।

আরও দেখুন –

প্রসঙ্গত, সামনে পঞ্চায়েত  ভোট। এক দিনে ৬৩ হাজার বুথে ভোট করতে হলে দেড় লক্ষ পুলিশ কর্মী দরকার। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের যা বাহিনী রয়েছে তাদের সাবাইকে ব্যবহার করলে এত পুলিশ কর্মী যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। ভোটের কাজে সিভিক ভল্টেয়ার্স ব্যবহার করা যাবে না।

আরও দেখুন

যদিও প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, নব নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের নিয়োগের পর উপযক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়ে কাজে নামানো কতটা যুক্তি যুক্ত। পুলিশ সূত্রের খবর কন্সটেবল, সাব ইন্সপেক্টর ও ডিএসপি নিয়োগের পর গোরে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ৪২ সপ্তাহ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সারা দেশে এই নীতি মেনে চলে রাজ্যগুলি।

যদিও পশ্চিমবঙ্গে নব নিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে কোনও বিধি চালু নেই। ২০১১ সালে তৎকালীন রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় পুলিশের অভাব মেটাতে  বোর্ড অফ কন্ট্রোল কমিটিকে হাতিয়ার করে এই প্রশিক্ষণের ময়াদ তিন মাস করার জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে। কারণ নতুন থানা তৈরি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পুলিশের প্রয়োজন ছিল। পরবর্তীকালে সুরজিত করপুরকায়স্থ রাজ্য পুলিশের ডিজি হওয়ার পরও এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ কিছুটা বাড়িয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ফোর্সের বর্তমান ঘটতি মেটাতে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাটি টানা তিন মাস ধরে না চালিয়ে মাসে সাত দিন করার নির্দেশ দিলেন।

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সির কাজেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ চান। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচুর ছেলে মেয়ে এখন সিকিউরিটি এজেন্সিতে কাজ করছে। তিনি জানতে চান কিভাবে এদের নিয়োগ করা হয়? কোথা থেকে আসছে? তাদের যোগ্যতা কি? কতজন কাজ করছে? এদের কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে? এদের ভবিষ্যত কি? সব কিছু বিস্তারিতভাবে জানা দরকার।’’

তাই তিনি স্বারাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও এডিজি(আইনশৃঙ্খলা),ডিরেক্টর সিকিউরিটি পিযূষ পান্ডেকে একসঙ্গে বসে এই সব সিকিউরিটি এজেন্সিগুলিকে নিয়ে বৌঠক করার নির্দেশ দেন।

SOMRAJ BANDOPADHYAY

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Mamata Banerjee, Police