#কলকাতা: খাসির মাংস বহুদিন আগে থেকেই নাগালের বাইরে। বর্ষা শুরু হয়ে গেলেও ইলিশ মাছ এখনও মধ্যবিত্তের কাছে যেন ভিনগ্রহের বস্তু। তার মাঝেই এ বার দামের মিটার বাড়তে শুরু করেছে পোল্ট্রি মুরগী এবং ডিমের।
পেট্রোল ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। ডিজেলও বেশ দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে সেঞ্চুরির দিকে। তার সার্বিক প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রতিটা শাক সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। কিন্তু বিগত এক সপ্তাহ ধরে সবাইকে পিছনে ফেলে রেকর্ড দাম বেড়েছে মুরগির মাংসের। শনিবার পোল্ট্রি মুরগির মাংসের দাম গড়িয়াহাট বাজারে ছিল ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। আর উত্তর কলকাতার হাতিবাগান বাজারে মুরগির মাংস বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ২৪০ টাকায়। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে গিয়েছে। তার ফলে পোলট্রির মুরগিরও দাম আগে থেকেই অনেকটা বেড়ে ছিল। কিন্তু কি কারনে এক লাফে মাংসের দাম এত বাড়ল?
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি বলেন, 'হঠাৎ করে পোল্ট্রি মুরগির প্রধান খাদ্য সোয়াবিন এবং ভুট্টার দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। আগে এক কেজি সোয়াবিনের দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। যা এখন ৭০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তার সাথে পরিবহন খরচ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার কারণেই মাংসের দামের এই বৃদ্ধি ঘটেছে।'
সয়াবিন এবং ভুট্টার দাম বৃদ্ধির কারণ কি?
মদন মোহন মাইতির দাবি, 'করোনার জন্য উৎপাদন কম হয়েছে। তাই এই অবস্থা।' তাঁর আশঙ্কা, আগামী নভেম্বরের ভুট্টা এবং সোয়াবিনের নতুন ফলন হবে। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে বসে থাকলে পোল্ট্রি মুরগির মাংসের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে। ফলে সরকারকে যত শীঘ্র সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মদন মোহন মাইতি বলেন, 'দেশ থেকে সয়াবিন এবং ভুট্টার রপ্তানি এখনই বন্ধ করে, যতটা ঘাটতে হচ্ছে ততটা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।'
অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ প্রতিদিন আসে এ রাজ্যে। লকডাউন এবং পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেই মাছও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার ওপর পোল্ট্রি মুরগির দাম এই হারে বাড়লে বাঙালি খাবে কি? এখন সেই প্রশ্নই গৃহস্থের হেঁসেলের অন্দরে।
SOUJAN MONDAL
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Poultry