কীভাবে ঢুকবে বাড়ি তৈরির টাকা? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Last Updated:

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়াপ্রসাদ রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সময় তাঁদের আধার কার্ড সংযোগ করাতে হবে৷

.প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
.প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
#কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির টাকা কিস্তি মাফিক সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাবে।কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়া প্রসাদ সোমবারই রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সময় তাদের আধার কার্ড সংযোগ বা লিঙ্ক করাতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।
কেন্দ্রীয় সরকার গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপভোক্তাদের আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেম (এপিবিএস)কে হাতিয়ার করে প্রকল্প খরচ মেটাবে। এতে একই ব্যক্তি দুবার টাকা নিতে পারবে না। আগে এই ব্যাবস্থা চালু থাকলেএও তা বাধ্যতামূলক ছিল না।যদি কারও আধার লিঙ্ক ফেল করে তাহলে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে দিয়ে অথেনটিকেট করাতে হবে। এই প্রকল্পে যেসব বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে সেগুলিও আদার লিঙ্ক করাতে হবে। যে বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে তাদেরও আধার লিঙ্ক করাতে হবে। তা না হলে একই ব্যক্তি একাধিকবার এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে।
advertisement
advertisement
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে আগামিকাল জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব। আগামিকাল সকাল সাড়ে দশটা থেকে এই বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব, এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকে সব জেলার জেলাশাসক দেরপাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক, সংশ্লিষ্ট দফতরের জেলার আধিকারিকদেরও উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে সোমবারই জেলার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি জায়গায়। মনে করা হচ্ছে মঙ্গলবার এর এই বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্য সচিব। পাশাপাশি এই বৈঠক থেকে সমীক্ষা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে তা নিয়েও কিছু নির্দেশ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
যদিও গত সপ্তাহেই তিনি বৈঠক করে নির্দেশ দিয়েছিলেন সমীক্ষায় কেউ বাধা দিলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করা হবে। তবে সোমবার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ এবং তালিকা নিয়ে গ্রামবাসীদের তরফে একাধিক অভিযোগের ঘটনা সামনে আসায় মঙ্গলবারে বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তা না হলে রাজ্যের কোটা হাতছাড়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক চিঠি দিয়ে রাজ্যকে জানিয়ে দিল। শুক্রবারই এই চিঠি পঞ্চায়েত দফতরে এসে পৌঁচেছে। যা হাতে পেয়েই জেলাশাকদের কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠির কথা জানিয়ে সতর্ক বার্তা দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
advertisement
আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অনীহায় আবাস তথ্য ভান্ডার থেকে উপভোক্তাদের নাম নিয়ে যাচাই সমীক্ষার কাজের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়েছে। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের চিঠি উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। মুখ্যসচিব গোটা বিষয়টি জেলাশাসকদের জানিয়ে বার্তায় বলেছেন, উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি তথ্য যাচাইয়ের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। ফলে শীঘ্রই প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটা নির্দিষ্ট হয়ে যাবে। কেন্দ্রের স্থির করে দেওয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই একশো শতাংশ কাজ শেষ না হওয়াটাই অপ্রত্যাশিত। তাই অপনারা উদ্যোগী হন যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই একশো শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলা যায়।  মুখ্যসচিবের পাশাপাশি রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের অতিরিক্ত সচিবও আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয় মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গয়া প্রসাদের চিঠিও জেলাশাসকদের পাঠিয়ে দিয়েছে।
advertisement
কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ গরীব মানুষের আবাসন সমস্যার সমাধানে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২৪ লারে মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। সারা দেশে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কথা। ইতিমধ্যেই ২ কোটি ১০ লক্ষ বাড়ি  তৈরি হয়ে গিয়েছে। ৩৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র চাইছে রাজ্যগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করুক। সেজন্য উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির লক্ষ্যমাত্র ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে সব রাজ্য তাদের তালিকায় লক্ষ্য মাত্র পূরণ না করতে পারলে যে অংশটা বাকি থাকবে তা অন্য রাজ্যকে বরাদ্দ করা হবে।
advertisement
কেন্দ্রীয় সরকার ২৪ নভেম্বর রাজ্যকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। আবাস  তথ্য ভান্ডার  থেকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ টি বাড়ি অনুমোদন  পেয়েছে। আবাস তথ্য ভান্ডার থেকে উপভোক্তাদের চিহ্নিত  করতে হবে। এই তথ্য ভান্ডারে ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার উপভোক্তার নাম রয়েছে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কত জন উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। যেজন্যই গ্রাম পঞ্চায়ে স্তরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে। আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছাড়াও এই সমীক্ষক দলে গ্রামীণ পুলিশ, পঞ্চায়েতের কর্মীরা রয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর এজন্য সমীক্ষকদের প্রশীক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরের দিন থেকেই সমীক্ষার কাজ শুরুর কথা। রাজ্য সরকার উপত্ভোক্তাদের চাড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজে বেনোজল ঠেকাতে ত্রিস্তরীয় চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষ করতে টাইমলাইন ও তৈরি করে দিয়েছে।
advertisement
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কীভাবে ঢুকবে বাড়ি তৈরির টাকা? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement