কলকাতায় পুলিশের সামনেই ‘গোলি মারো’ স্লোগান...আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি সিপিএমের

Last Updated:

কলকাতায় স্লোগান বিতর্কে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শুধু বলে, 'ওদের কাছ থেকে এই ধরনের স্লোগানই প্রত্যাশিত'। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে 'গোলি মারো' স্লোগান বিতর্ককে সামনে রেখে টগবগ করে ফুটছে রাজনৈতিক মহল।

VENKATESWAR  LAHIRI
#কলকাতা:  যে স্লোগান নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ‘গোলি মারো...’ স্লোগানই বিজেপির মিছিল থেকে আবার উঠল ৷ এবার দিল্লি নয়, খাস কলকাতার রাজপথে।  প্রকাশ্য রাস্তায় ৷ রবিবার ধর্মতলায় শহীদ মিনারে অমিত শাহর সভায় যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই বিজেপির মিছিল থেকে উঠল বিতর্কিত 'গোলি মারো.....' স্লোগান ৷
এদিন অমিত শাহের জনসভা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে সভাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বেলা একটা বেজে তিরিশ মিনিট । মধ্য কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় বিজেপির একটি মিছিল থেকে ফের শোনা গেল 'গোলি মারো'। একবার নয়, একাধিকবার  বিতর্কিত এই স্লোগান শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের সমর্থকদের মুখে। বিক্ষোভের আশঙ্কায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মত ধর্মতলাতেও তখন  পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। রীতিমতো পুলিশের গা ঘেঁষে যাওয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের মুখে মুখে তখন একটাই স্লোগান, 'দেশকে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো... গোলি মারো...'।  মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও।
advertisement
advertisement
বিজেপির মিছিল থেকে 'গোলি মারো ....'  স্লোগান নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল সিপিএম। পুলিশের সামনেই কলকাতার রাজপথে যেভাবে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যে গুলি মারার কথা বলল। পুলিশের  হাত গুটিয়ে বসে থাকার ঘটনা এককথায় নজিরবিহীন, বললেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়,  ‘‘প্রকাশ্যে কাউকে গুলি মারার কথা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি ক্রিমিনাল অফেন্স। অথচ পুলিশ হাত গুটিয়ে নীরব থাকল।আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে  হুমকিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। নচেৎ আদালতের দ্বারস্থ হব।’’
advertisement
প্রসঙ্গত, দিল্লি নির্বাচনের প্রচারের সময় এই স্লোগান নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি ৷ দিল্লিতে প্রচার করতে এসে অনুরাগ ঠাকুর সভায় দাঁড়িয়ে এই বিতর্কিত স্লোগান দেওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাঁকে প্রচার থেকে বিরত করে৷ তাই নিয়ে বিরোধীরাও কথা বলতে ছাড়েনি৷ এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  ‘গোলি মারো' মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন ৷ কিন্তু এদিন ফের কলকাতায় অমিত শাহের সভার দিনেই শোনা গেল বিতর্কিত সেই 'গোলি মারো....' স্লোগান। তাও আবার তাঁর দলেরই লোকজনের মুখে। গত সপ্তাহের  শেষের দিনে দিল্লির ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন রাজীব চকে শোনা গিয়েছিল 'গোলি মারো' স্লোগান । এর জেরে কয়েকজনকে আটকও করে দিল্লি পুলিশ।
advertisement
সেই স্লোগান কান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের 'গোলি মারো' স্লোগান বিতর্ক কলকাতায়। বিরোধীদের খোঁচা, 'দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক দলের সঙ্গে অমিত শাহ তথা বিজেপির 'সেটিং' হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  পুলিশের সামনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা প্রকাশ্যে 'গোলি মারো' স্লোগান দিলেও তা পুলিশের কানে পৌঁছোয়নি। আমরা নজর রাখছি কলকাতা পুলিশ কোনও  আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা। পুলিশ নীরব থাকলে আমরা আদালতে  সরব হব'।
advertisement
যদিও বিরোধীদের আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গকে খুব একটা আমল দিতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি দল এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যকে যে সমর্থন করে না সেকথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। শাসকদলের তরফে তাদের সঙ্গে বিজেপির 'সেটিংয়ে'র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপি বিরোধিতায় আন্দোলনের প্রধান মুখ। কলকাতায় স্লোগান বিতর্কে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শুধু বলে, 'ওদের কাছ থেকে এই ধরনের স্লোগানই প্রত্যাশিত'। সব মিলিয়ে  এই মুহূর্তে 'গোলি মারো' স্লোগান বিতর্ককে  সামনে রেখে  টগবগ করে ফুটছে রাজনৈতিক মহল।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
কলকাতায় পুলিশের সামনেই ‘গোলি মারো’ স্লোগান...আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি সিপিএমের
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement