'সরকারের থেকে এত দিন সুবিধা পেয়েছেন, এদের দিন শেষ,' দিলীপের রোষে কবি

Last Updated:

নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও প্রসঙ্গ ক্রমে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, 'বিরোধিতা করার সাহস আর পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চুপচাপ গিয়ে ক্ষমা চেয়ে এসেছেন।'

#কলকাতা:  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দু দিনের কলকাতা সফর শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই শহরের রাজপথ বিক্ষোভে উত্তাল হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতায় পথে নামেন অনেকেই। ছাত্র-যুব থেকে নাগরিক সমাজ শনিবার সকাল থেকেই ধর্মতলা চত্বর CAA বিরোধিতায় গর্জে ওঠে। অবিলম্বে আইন বাতিল করতে হবে এই দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে প্রতিবাদীরা। শহরে প্রধানমন্ত্রী থাকা পর্যন্ত লাগাতার বিক্ষোভ সামিল হন।। রাজপথের একাধিক জায়গায় রং তুলি দিয়ে লেখা হয় 'গো ব্যাক মোদি'। বামপন্থী থেকে শুরু করে রানি রাসমণি রোডে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব থেকে নাগরিক সমাজের একাংশ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইন বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন । বহু বিশিষ্টজনও প্রতিবাদে সামিল হন। তাঁদেরই মধ্যে একজন কবি মন্দাক্রান্তা সেন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে গর্জে ওঠেন মন্দাক্রান্তাও। প্রধানমন্ত্রী শহরে পা রাখার কয়েক ঘন্টা আগে তিনিও প্রতিবাদ জানাতে ধর্মতলা চত্বরে আন্দোলনে সামিল হন। শুধু সামিল হওয়া নয়, নাগরিক আইনের বিপক্ষে প্রতিবাদী কণ্ঠ প্রকাশ পায় তাঁর কলমে। প্রতিবাদ মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে চড়িয়ে নিজের লেখা প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করে এ দিন মন্দাক্রান্তা সেন স্লোগান দেন, 'মোদি গো ব্যাক , মোদি গো ব্যাক'।
advertisement
আর এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের রোষের মুখে পড়েন কবি। নিউজ 18 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সরকারের সাথে থেকে এতদিন সুবিধা নিয়ে করে খেয়েছেন। আর যখন বর্তমানে অন্য পরিস্থিতি হয়েছে তখন কেউ কেউ পুরস্কার ফেরত দিতে গেছে। এদের দিন শেষ।' কবি মন্দাক্রান্তা সেনের প্রতিবাদী চরিত্রকেও তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন দিলীপবাবু। বললেন, 'ওর লেখা কেউ পড়ে না। স্রেফ প্রচারের আলোয় আসার জন্যই মোদি গো ব্যাক মোদি গো ব্যাক স্লোগান, কবিতা বলেছেন। এ সব নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।'
advertisement
advertisement
নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও প্রসঙ্গ ক্রমে খোঁচা দিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, 'বিরোধিতা করার সাহস আর পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চুপচাপ গিয়ে ক্ষমা চেয়ে এসেছেন।' প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে শনিবার রাজভবনে বৈঠককে ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ায় নরেন্দ্র মোদির ওপর মানুষের বিশ্বাস আরও বেড়েছে বলে দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকের ভেতর প্রধানমন্ত্রীকে এক কথা বলেছেন , আর বাইরে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে অন্য কথা বলেছেন।'
advertisement
মোদি বিরোধিতায় বামেদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপবাবু। প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালীন শহরে বামেদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কিছু বাচ্চা ছেলেকে খেপিয়ে রাস্তায় নামিয়েছে ওরা। গত নির্বাচনে বাংলার মানুষ ঝাড়ু দিয়ে ওদের সাফ করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে সিপিএম তথা বামেদের যে কজন বিধায়ক আছেন তাদেরও আর দেখা পাওয়া যাবে না। একজন সাংসদ নেই। তাই ওদেরকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ওদের মুখে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা মানায় না।'
advertisement
প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরে বিক্ষোভের আগুন জ্বালানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে এও বলেন , 'শহরে আসা অতিথিকে অসম্মান করলে তার ফল তাকেই ভোগ করতে হবে।'
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
'সরকারের থেকে এত দিন সুবিধা পেয়েছেন, এদের দিন শেষ,' দিলীপের রোষে কবি
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement