চন্দননগর নয়, কলকাতায় সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা কোথায় হয় জানলে চমকে উঠবেন

Last Updated:

বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতাতেও বড় বড় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছে

চন্দননগরের একটি মণ্ডপের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা৷
চন্দননগরের একটি মণ্ডপের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা৷
কলকাতা: দুর্গা পুজো, কালীপুজোর পর আসে জগদ্ধাত্রী পুজো। কলকাতায় যেমন বিখ্যাত দুর্গাপুজো ঠিক তেমনি বারাসাতের কালী পুজো দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে। আবার তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে সবাই পাড়ি দেন চন্দননগরে। সেখানকার পুজো দেখার জন্য সারা রাজ্য এমন কি কলকাতা থেকেও ভিড় জমান বহু মানুষ।
দুর্গা পুজোর মতোই এখানে পুজো হয় চারদিন ধরে। তাছাড়াও বড় বড় প্রতিমা, আলোকসজ্জা এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। দুর্গা পুজোতে যে উৎসব রাজ্যে শুরু হয় তার রেশ চলে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত। সেই কারণে উৎসবের শেষ ছোঁয়া পেতে সবাই হাজির হয় চন্দননগরে।
advertisement
advertisement
কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতাতেও বড় বড় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো উত্তর কলকাতার শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের পুজোর ছোঁয়া এখানে অনেকটাই পাওয়া যায়। এ বছর ৪৮ বছরে পা দিল শ্যাম পার্কের জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো কলকাতার শুধুমাত্র অন্যতম সেরা পুজোই নয়,  এখানকার প্রতিমাও কলকাতার সবচাইতে বড় বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের।
advertisement
অমিত রায় দীর্ঘদিন ধরে এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি জানান, “আমাদের প্রতিমা সম্ভবত কলকাতার সবচাইতে বড় প্রতিমা। মুকুট নিয়ে এই প্রতিমার উচ্চতা হয়ে যায় প্রায় ২৬ ফুট। কাটোয়া থেকে শিল্পীরা এসে সাজসজ্জা কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র প্রতিমার উচ্চতাই নয়। এখানে পুজো হয় নিষ্ঠা সহকারে। সেই কারণে বহু মানুষ এখানে এসে পুজো দিয়ে যান৷ বাগবাজারের দুর্গা প্রতিমা যেমন বিখ্যাত তাই সেই প্রতিমার মুখের আদলে এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা তৈরি করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এখানে প্রায় হাজার দশেক মানুষকে ভোগ বিতরণ করা হয়। মণ্ডপের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। আর যেহেতু এই মণ্ডপের চারপাশে বড় খোলামেলা জায়গা আছে এবং সেখানে মেলা হয় তাই এর টানেও বহু মানুষ এখানে ছুটে আসে। এছাড়াও এই পুজোর অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমরা বহু নামী দামি শিল্পীকে এখানে নিয়ে আসি। তা দেখতেও প্রচুর মানুষ এখানে এসে উপস্থিত হন।”
advertisement
চন্দননগরের মতো চারদিন ধরে পুজো না হলেও দু’দিন এখানে প্রতিমা রাখা হয়। তিন দিনের মাথায় হয় বিসর্জন। এখানেও উপস্থিত হন এলাকার বহু মানুষ। সিঁদুর খেলার পর ধুমধাম করে বিদায় জানানো হয় দেবীকে। শিয়ালদহ থেকে এখানে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন রাইমা সাহা। তিনি বলেন, “এখানকার প্রতিমা সত্যিই দেখার মতো। একদম অবিকল বাগবাজারের দুর্গা প্রতিমার মতো। দেখলে মনে হয় যেন বাগবাজারের মা দুর্গা পুজোর শেষে কৈলাশে গিয়ে আবার জগদ্ধাত্রী পুজোতে শ্যাম পার্কে ফিরে এসেছেন।”
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
চন্দননগর নয়, কলকাতায় সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা কোথায় হয় জানলে চমকে উঠবেন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement