রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে প্রস্তাব গৃহীত মন্ত্রিসভার বৈঠকে

Last Updated:

রাজ্য সরকার গঠন করতে চায় বিধান পরিষদ।

#কলকাতা: বিধানসভা ভোটে শাসক দলের একাধিক পুরানো মুখ বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রার্থী তালিকা থেকে। দলনেত্রী জানিয়েছিলেন সরকার গঠনের পরে বাদ যাওয়া  মুখেদের অনেককেই ফিরিয়ে আনা হবে। রাজ্য সরকার গঠন করতে চায় বিধান পরিষদ। বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয় সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ নিয়ে সেই প্রস্তাব নেওয়া হল। রাজ্যের ৮ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সূত্রের খবর, বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা হবে বিধানসভায়।
বিধান পরিষদ কী?রাজ্য আইনসভা দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট বা এক কক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চ কক্ষের নাম বিধান পরিষদ এবং নিম্ন কক্ষ বিধানসভা। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই বিধান পরিষদের অস্তিত্ব নেই। পশ্চিমবঙ্গও এক কক্ষ বিশিষ্ট।বিধান পরিষদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা কী?ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার কোনও অবস্থাতেই তা ৪০-এর কমও হবে না। বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি ২ বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করে থাকেন।বিধান পরিষদের আইনি ক্ষমতা কী?অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনো বিলকে বিধান পরিষদ সর্বাধিক ৪ মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।বিধান পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কী?অর্থ বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায় না। বিধান পরিষদের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে।বিধান পরিষদের শাসন ক্ষমতা কী?সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রীসভা শুধুমাত্র নিম্নকক্ষ অর্থাৎ বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। ফলে শাসন সংক্রান্তও তেমন ক্ষমতা নেই বিধান পরিষদের।বাংলায় বিধান পরিষদ নেই কেন?পশ্চিমবঙ্গে একসময় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রায় 'গুরুত্বহীন' হয়ে পড়ে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ বহু রাজ্যে এই উচ্চকক্ষ বিলুপ্ত করা হয়। ১৯৬৯ সালের ২১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ অবলুপ্তির একটি প্রস্তাব পাস হয়। এরপর ভারতীয় সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ (অবলুপ্তি) আইন, ১৯৬৯ পাস হয়। ১৯৬৯ সালের ১ অগস্ট এই পরিষদ অবলুপ্ত হয়। যদিও ২০১১ সালে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পুনরায় এই পরিষদ গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছিল।কোন কোন রাজ্যে আছে বিধান পরিষদ?বর্তমানে ভারতের মোট ৭ টি অঙ্গরাজ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব আছে। সেগুলি হল, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টি জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তারা আবার বিধান পরিষদ অবলুপ্ত করবে। পঞ্জাবে অকালি দল-বিজেপি জোট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল বিধান পরিষদ পুনরায় গঠন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
advertisement
ABIR GHOSHAL
advertisement
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে প্রস্তাব গৃহীত মন্ত্রিসভার বৈঠকে
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement