শবদাহ পোড়ানো নিয়ে উদ্বেগ বর্ধমানে, দায়িত্ব নিলেন পুর প্রধান, ফের চালু ইলেকট্রিক চুল্লি
- Published by:Sanjukta Sarkar
- Reported by:Saradindu Ghosh
Last Updated:
Bardhaman News:নির্মল ঝিল শ্মশানে বিকল দুটি বিদ্যুৎ চুল্লিতে পুনরায় মৃতদেহ দাহ করার কাজ শুরু হল। গত বুধবার বিকেলে চুল্লি দুটি বিকল হয়ে যায়। তার জেরে মৃতদেহ নিয়ে এসে সৎকার করার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা।
বর্ধমান: নির্মল ঝিল শ্মশানে বিকল দুটি বিদ্যুৎ চুল্লিতে পুনরায় মৃতদেহ দাহ করার কাজ শুরু হল। গত বুধবার বিকেলে চুল্লি দুটি বিকল হয়ে যায়। তার জেরে মৃতদেহ নিয়ে এসে সৎকার করার ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। অনেকে কাঠের চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করেন। তার জন্য অনেককেই মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছিল।
তাছাড়া এই বর্ষায় কাঠ জোগাড় করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল। অবশেষে বর্ধমান পৌরসভার তৎপরতায় বিদ্যুৎ চুল্লি দুই মেরামত করে চালু করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার মধ্য রাত থেকে সেখানে ফের দাহ কাজ শুরু হয়েছে।
advertisement
advertisement
বর্ধমান ও তার আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা মৃতদেহ দাহ করার জন্য নির্মল ঝিল শ্মশানের ওপর নির্ভরশীল। বর্ধমান শহরে আর কোনও শ্মশান নেই। তাই শুধু বর্ধমান শহর নয়, শহরের বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃতদেহ আসে এই শ্মশানে।
advertisement
আগে এখানে শুধুমাত্র কাঠের চুল্লিতে দাহ করা হত। পরবর্তী সময়ে একটি গ্যাস চুল্লি ও দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরি হয়। গ্যাস চুল্লি তৈরির পর দীর্ঘ সময় তা বিকল থেকেছে। দুটি বিদ্যুৎ চুল্লিই মূল ভরসা হয়ে কাজ চালাচ্ছিল। কিন্তু বুধবার বিকেলে এই দুটি চুল্লিই খারাপ হয়ে যায়।
উপায় না পেয়ে কাঠের চুল্লিতেই দাহ করতে হচ্ছিল দেহ। কিন্তু এই বর্ষার সময় কাঠ ভিজে যাওয়ার জন্য শবদেহ দাহ করতে দীর্ঘ সময় লাগছিল। সাধারণত কাঠে দাহ করতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা। কিন্তু এই বর্ষায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছয় থেকে সাত ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছিল। এর ফলে রীতিমতো লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছিল দাহ কাজের জন্য। বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে কাঠ কিনে আনতে হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
advertisement
যাঁরা আর্থিকভাবে সক্ষম, তাঁরা দেহ নিয়ে কালনা, কাটোয়া, ধাত্রীগ্রাম বা ত্রিবেণী যাচ্ছিলেন। যাঁদের সেই সামর্থ্য নেই তাঁরা সমস্যার মধ্যে পড়ছিলেন। শ্মশানের এই বিভ্রাটের জন্য বর্ধমান পুরসভার দিকে আঙুল তুলেছিল বিরোধীরা।
বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে এক সঙ্গে দুটি বিদ্যুত চুল্লি বিকল হয়ে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এই ভোগান্তির জন্য আগেই আমি বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম। আসানসোল থেকে মেকানিক এনে শনিবার রাতে চুল্লি দুটি ফের সচল করা সম্ভব হয়েছে। রাত একটা থেকে ফের বিদ্যুৎ চুল্লি দুটিতে দাহ শুরু হয়েছে। এবার থেকে আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে চুল্লি দুটি দেখভাল করব।”
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 12, 2025 7:58 AM IST