#কলকাতা: জোকা ইসআইয়ের বাইরে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা৷ বাস্তবিকই তাঁকে সামলানো হয়ে উঠেছে মুশকিল৷ গাড়ি থেকে নামতে চাইছিলেন না তিনি৷ একবার পড়েও যান৷ তারপর তাঁকে হুইলচেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয়৷ গাড়িতে তোলার সময় থেকে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি৷
টালিগঞ্জ, রথতলা, নয়াবাদ- তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে একের পর এক ফ্ল্যাটের খোঁজ পাচ্ছে ইডি৷ সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের অর্পিতা নিজেই জানিয়েছেন, অন্তত ১২ থেকে ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর নামে৷ শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে তার বেশ কিছু অস্থায়ী সম্পত্তি আছে বলেও তদন্তকারীেদর জানিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷
ইতিমধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি জেরায় দাবি করেছেন, টালিগঞ্জ এবং রথতলায় তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ অর্পিতার পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে এবং আরও মিলছে, তা তাঁর আয়ের সঙ্গে কোনওভাবেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷ ফলে সেই টাকা তিিন কোথা থেকে পেলেন অথবা এই সমস্ত সম্পত্তি কেনার প্রয়োজনীয় অর্থের উৎস কী, সেটাই এখন জানতে চান তদন্তকারীরা৷
আরও পড়ুন: দাম দেড় কোটিরও বেশি, গ্রেফতার হতেই অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উধাও চারটি গাড়ি! খুঁজছে ইডি
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশির সময় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট, চেকবই সহ বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে ইডি৷ এ দিন ওই ব্যাঙ্কের দুই আধিকারিককেও ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়৷
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছেন ইডি কর্তারা৷ ইডি সূত্রে দাবি, অর্পিতা জেরায় জানিয়েছেন, সোনা, নগদ টাকার মতো বেশ কিছু অস্থায়ী সম্পত্তি তাঁর এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত যা যা সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে, তার প্রতিটি ধরে ধরে পার্থ এবং অর্পিতাকে জেরা করছেন ইডি কর্তারা৷ অর্পিতার রথতলার ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করে দু'টি রিয়েল এস্টেট সংস্থা নথিভুক্ত করা হয়েছিল৷ ফলে, এসএসসি দুর্নীতির টাকা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় লাগানো হয়েছিল কি না, সেই খোঁজও চলছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Arpita Mukherjee