#কলকাতা: করোনা আতঙ্কের জেরে লাটে উঠেছিল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। হাসপাতালের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কে কাঁটা হয়ে গিয়েছিল। রোগী থেকে রোগীর আত্মীয়রা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। শিয়ালদহ এন আর এস হাসপাতাল গত কয়েকদিন ধরেই এই হাসপাতালে করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছিল।তবে গত শনিবার থেকে আতঙ্ক এতটাই দানা বাঁধে, যে গোটা হাসপাতাল প্রায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। ঘটনার সূত্রপাত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী এক যুবক হিমোফিলিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এনআরএস হাসপাতালে জেনারেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ভর্তি হওয়ার পর গত ২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়। তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা সি সি ইউ তে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার তার লালা রস বা সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় বেলেঘাটা নাইসেডে। শনিবার ওই যুবকের মৃত্যু হয় । মৃত্যুর পরে তার নমুনা জানা যায় যে,সেই যুবক করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এরপরই হুলুস্থুলু পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল জুড়ে। তড়িঘড়ি ওই যুবকের যারা চিকিৎসা করছিলেন, সেই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মীসহ মোট ৭৩ জনকে কোয়ারান্টিনে বা গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়। প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।বুধবার সকালে জানা যায় গত জুনে রিপোর্টটি নেগেটিভ অর্থাৎ কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে পড়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের।
অন্যদিকে রবিবার রাত থেকেই এন আর এস হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড, যেখানে ১৪০ টি বেড ছিল সেটি এবং ১৬ বেডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে এবং সিসিইউ'তে যে রোগীরা চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের প্রত্যেককে অন্যত্র আইসোলেশনে পাঠানো হয়। গোটা মেল মেডিসিন ওয়ার্ড এবং সি সি ইউ জীবাণুমুক্ত বা স্যানিটাইজ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারো সাধারণের জন্য এই মেল মেডিসিন বিভাগ খুলে দেওয়া হয়।ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন হাসপাতালে আতঙ্ক অনেকটাই কম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Kolkata, NRS Hospital