#কলকাতা: হরিদেবপুরে ৪১ পল্লীর কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১২ বছরের কিশোরের। নাম, নীতিশ যাদব। ঘটনাস্থলে হরিদেবপুর থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কিশোরকে বাঁচানো যায়নি। নীতিশের মা এখনও হাসপাতালেই।
শিক্ষকের বাড়িতে প্রসাদ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর সারা হল না। শিক্ষকের বাড়ির সামনেই রাস্তায় জল জমে ছিল। সেখানে ল্যাম্পপোস্টে হাত দেওয়া মাত্রই জমা জলে লুটিয়ে পড়ে ছেলেটি। বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়। কাউন্সিলর রত্না সুর জানান, ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই এখানে জল জমে। এক মহিলার দাবি, তার ছেলেও ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে টের পেয়েছিল যে জলে বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু পোস্টে হাত দেয়নি সে। না হলে সেও আর বাঁচত না।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ ক্ষণ জলে পড়েছিল ছেলেটি। ভয়ে কেউ তোলেনি তাকে। পুরসভার আলো বিভাগ এবং সিইএসসি ঘটনাস্থলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জলে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। একটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত সেখান থেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। পুলিশ তা সংগ্রহ করেছে। কী ভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হরিদেবপুরের কিশোরের মৃত্যুতে দায় কার, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুরসভার বাতিস্তম্ভ তখনও আলো সংযোগ করা হয়নি। কেইআইপি-র কাজের জন্য বেহালার বেশ কিছু অংশে জল জমছে। সে রকমই এখানে জল জমেছে বৃষ্টির পরে। জল নামানোর জন্য পাম্প নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত বছর দমদমে এ রকমই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুই শিশুর। তার পরেও যে টনক নড়েনি, এই তার প্রমাণ। Arpita Hazraনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Electrocution, Haridevpur