#শিলিগুড়ি: সিকিম, দার্জিলিং এবং উত্তরের বিভিন্ন সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ঢুকতে হবে বাগডোগরা দিয়েই। এদিকে দিনের পর দিন বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে তা জেলা এবং পাহাড়ের অর্থনীতি এবং পর্যটনের উপর প্রভাব ফেলবে। এর ফলেই রুষ্ঠ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী এবং নানা সংগঠন। তাঁদের দাবি, এতদিন কেন কাজ করা হয়নি। সিকিম এবং পাহাড়ে পর্যটকের আসার সময়ে এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান তাঁরা। বাংলার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর বাগডোগরা বিমানবন্দর। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে আসে বা এখান থেকে বাইরে যায়। শিলিগুড়িকে 'চিকেন নেক' (chicken neck) বলা হয়। এই নির্দিষ্ট শব্দের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরও। তবে, এপ্রিল মাসের ১৫দিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের রানওয়ে (runway) সংস্কারের কাজ চলছে। এর ফলেই এই নিষেধাজ্ঞা।
বিমানবন্দর সূত্রেই জানা গিয়েছে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে রানওয়ে (runway) সংস্কারের ব্যাপারে ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF)-রএকজন পদস্থ আধিকারিক, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)-র নির্বাহী পরিচালককে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এই নির্দেশে যেন কালো মেঘের ছায়া এসে নেমেছে পর্যটন মহলে। বিমানবন্দরের এই সিদ্ধান্ত জরুরী হলেও খানিকটা মুখভার পর্যটন ব্যবসায়ীদের। একেই কোভিডের কড়াকড়ি, তার উপর বিমানবন্দরে তালা। কিছুটা হলেও মন খারাপ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। বিভিন্ন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং সংগঠনের তরফে এনিয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI)-কে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পর্যটন সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যদের দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গের এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, রাজ্য এবং আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের অংশের সঙ্গেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ বিন্দু হিসাবে কাজ করে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ নাগরিকদের জীবনে তো বটেই, প্রভাব ফেলবে ব্যবসা, শিক্ষা এবং সর্বোপরি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আগতদের উপর।'
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্কের (Himalayan Hospitality and Tourism Network) সাধারণ সম্পাদক (general secretary) সম্রাট সান্যাল নিউজ ১৮ লোকালকে বলেন, 'কোভিডের কারণে বহুদিন বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। সেই সময়ে এই সংস্কারের কাজ করলেই হত। এতদিন করা হয়নি। যখন সিকিম এবং পাহাড়ে পর্যটকদের আসার মূল সময় (peak time) তখনই কেন এই কাজটা করা হল? এর বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবি পেশ করতে চাই।'
সম্রাটবাবু আরও বলেন, 'আমরা আবারও আমাদের অনুরোধ জানিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং পুনরুদ্ধারের কাজ চালানোর পরামর্শ দেওয়ার জন্য এয়ার ট্রাফিক চলাচল চালু রাখতে। আমরা আশা করি আমাদের অনুরোধটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্থানীয় স্টেক হোল্ডার (stakeholder) এবং এখানে বসবাসকারী নাগরিক হিসাবে আমরা আশা করি আমাদের কথাটি মান্যতা দিয়ে দেখা হবে।'
সংগঠনের মতে, দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় অংশ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর কীভাবে অসংখ্য নাগরিক এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়? সম্রাটবাবু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, 'এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার হিসাবে এটি সত্যিই হতাশাজনক যে আপনাদের কাছে সময় নেই আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করার। আমরা চাই এই স্মারকলিপি আমরা জমা দিই সামনাসামনি।'
Vaskar Chakraborty
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bagdogra Airport, Siliguri