জলপাইগুড়ি: গরম ক্রমশ বাড়ছে। আর ঠিক এই সময়ই বিহার, উত্তরপ্রদেশের মত বাংলাতেও পালিত হল চৈতি ছট। বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা নেপালের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হল ছট পুজো। যা কার্তিক মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তখন বাতাসে হালকা ঠান্ডার রেশ থাকে, গরম চলে গিয়ে ধীরে ধীরে মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করে। সেই ছট পুজোর যাবতীয় নিয়ম মেনেই চৈত্র মাসে আবার বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও নেপালের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই চৈতি ছট উদযাপন করেন। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ভাষাভাষী যে হিন্দুরা বসবাস করেন তাঁরাও কার্তিক মাসের ছটের মতই চৈতি ছট পুজোতেও মেতে ওঠেন। মঙ্গলবার কাকভোরে এই চৈতি ছট পুজো উপলক্ষে হিন্দিভাষী অধ্যুষিত এলাকার নদীর ঘাট, পুকুরের পাড়ে বহু মানুষের সমাগম দেখা গেল।
দক্ষিণবঙ্গের হিন্দিভাষী অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মতই উত্তরবঙ্গের হিন্দিভাষী প্রধান এলাকায় ছট পুজো উদযাপিত হয়। এমনকি বহু বাঙালি প্রতিবেশীকেও এবার এই পুজোয় সামিল হতে দেখা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরেও মহা ধুমধাম করে চৈতি ছট উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার কাকভোরে এখানকার করলা নদীর পাড়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হয়ে যাবতীয় ধর্মীয় আচারণ অনুষ্ঠান পালন করেন। অনেকে আবার শহরের মধ্যেই ছোট্ট জলাশয় খুঁড়ে সেখানে চৈতি ছট উদযাপন করেন।
আরও পড়ুন: সংখ্যায় বেড়েছে রয়েল বেঙ্গল, তাদের রসনা তৃপ্তিতে সুন্দরবনে ছাড়া হল ১০০ হরিণ
গত শনিবার থেকে এই পুজোর যাবতীয় নিয়ম-কানুন পালন শুরু হয়। রবিবার ছিল খারনা, সোমবার বিকেলে অস্তমিত সূর্যকে প্রণাম করে ঘাট থেকে বাড়ি ফেরা আর মঙ্গলবার সূর্যদয়ের আগে থেকেই নদী, পুকুরের ঘাটে ভিড় করেন সকলে। সূর্যদয়ের প্রতীক্ষা চলতে থাকে। সূর্য উঠতেই সম্পন্ন হয় চৈতি ছট পুজো
মূলত যারা সূর্যদেবের মানত করে থাকেন তাঁরাই চৈতি ছট উপবাস করে দিনটি পালন করেন। মূল ছট পূজোয় হিন্দিভাষী সূর্য ভক্তরা সপরিবারে অংশ নেন। এই চৈতি ছটেও তাঁরি সপরিবারে অংশ নিলেও সকলে উপবাস রাখেন না। একমাত্র মানত থাকলে তবেই উপবাস রেখে তিন দিন ধরে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chhath Puja, Jalpaiguri News