প্রয়াত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রিয় মিলন দা

Last Updated:

দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন ৷ অবশেষে সোমবার বিকেলে সুভাষগ্রামে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷

#কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মানেই মিলনদার ক্যান্টিনের ‘ঢপের চপ’ ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যান্টিন থাকলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় এই মিলন দা-র ক্যান্টিনই ৷ সেই মিলন দা আজ আর নেই ৷ দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি ৷ অবশেষে সোমবার বিকেলে সুভাষগ্রামে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷ অসুস্থতার জন্য শেষের দিকে একেবারেই ক্যান্টিনে আসতে পারতেন না ৷ ক্যান্টিন চালাতেন মিলন দা-র স্ত্রী ৷ ‘মিলন বৌদি’ নামেই যিনি বেশি পরিচিত ৷ আজ, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিলন দা-র মরদেহ নিয়ে আসা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ৷ সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা প্রত্যেকেই ৷
মিলনদা-র ক্যান্টিনের ব্যবসা শুরু ১৯৭২ সালে ৷ সবেমাত্র বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে সেসময় কাজ খুঁজছিলেন মিলন দা ৷ ইচ্ছে ছিল ব্যবসা করার ৷ মাথা গোঁজার জায়গা পেতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ব্যবসা করা তো স্বপ্নের ব্যাপার ছিল ৷ কিন্তু প্রচুর পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের উল্টোদিকে একটা বাসস্ট্যান্ডে রাতের পর রাত ঘুমিয়ে নিজের ক্যান্টিনকে দাঁড় করিয়েছেন মিলনবাবু ৷ অনেক অসুবিধাতেও হাল ছাড়েননি তিনি ৷
advertisement
চা-বিস্কুট দিয়ে শুরু ৷ এরপর পাউরুটি দিয়ে ‘ঢপের চপ’-এর মতো সুপারহিট আইটেম বানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা জমিয়ে ফেলেন সবার প্রিয় মিলন দা ৷ ১৯৭৫ সালে তৎকালীন উপাচার্য শঙ্কর সেন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি জেনারেটর রুমের পাশে জায়গা দেন ৷ সেখানেই আরও ভালভাবে চালু করেন ক্যান্টিন ৷ যতো দিন গিয়েছে আইটেম সংখ্যাও বেড়েছে ক্যান্টিনে ৷ মিলন দা-র অনুপস্থিতিতে একাই ক্যান্টিন সামলেছেন তাঁর স্ত্রী ৷ মিলন দা-র দুই ছেলের এক জন ইঞ্জিনিয়ার এবং অপরজন শিক্ষকতা করেন ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, সবার প্রিয় মিলন দা আজ আর নেই ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজি আর্টস বিল্ডিংয়ের সামনে তাঁর ক্যান্টিনে ‘মিলন দা একটা চা....’, ‘খাবারে আজ কী আছে মিলন দা....’ এই কথাগুলো আর শোনা যাবে না ৷
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
প্রয়াত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রিয় মিলন দা
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement