চেন্নাই সুপার কিংস জয়ী ৭ উইকেটে#নয়াদিল্লি: সিংহ গর্জন করছে! আবার জেগে উঠেছে হলুদ জার্সিধারীরা। প্রথম ম্যাচ দিল্লির বিরুদ্ধে হেরে যাত্রা শুরু করলেও আজকের আগে পর্যন্ত পরপর চারটি ম্যাচ জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দল। সানরাইজার্স যে টার্গেট দিয়েছিল সেটা তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করলেন দুই ওপেনার ডু প্লেসি এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ১২৯ রানের পার্টনারশিপ নির্ধারিত করে দিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য। শেষপর্যন্ত ঋতুরাজ আউট হলেন ৭৫ করে। একটিও ছক্কা না মারলেও মারলেন এক ডজন বাউন্ডারি।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকান ডু প্লেসি নিজের দুরন্ত ফর্ম বজায় রাখলেন। পেস বা স্পিন, কিছুই তাঁকে ঝামেলায় ফেলতে পারল না। রশিদ খান ছিলেন ওয়ার্নারের সেরা বোলার। বিশ্বের অন্যতম সেরা আফগান লেগ স্পিনার এদিন ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে পেলেন তিন উইকেট। ঋতুরাজ, মঈন এবং ডু প্লেসির উইকেট নিলেন। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না কমলা ব্রিগেডের জয়ের জন্য। বাকি কাজটা সুরেশ রায়না এবং রবীন্দ্র জাদেজা মিলে করে দিলেন। পরিসংখ্যান বলছে চেন্নাই সুপার কিংস দলের বিরুদ্ধে ডেভিড ওয়ার্নার বরাবর ধারাবাহিক ভাল খেলেন। প্রথম ইনিংসে এদিন জনি বেয়ারস্টো মাত্র ৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নার ভরসা দিলেন দলকে।
যোগ্য সহায়তা করলেন মণীশ পান্ডে। দুজনে মিলে তৈরি করলেন ১০৬ রানের পার্টনারশিপ। প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বিরুদ্ধে রান পেয়েছিলেন মণীশ। কিন্তু তারপর থেকে ধারাবাহিকতার অভাব দল থেকে ছিটকে দিয়েছিল তাঁকে। এদিন দুর্দান্ত ৬১ করলেন পান্ডে। মারলেন পাঁচ টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি। অন্যদিকে ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে গেলেন ৫৭ করে। এরপর উইলিয়ামসন ২৬ এবং কেদার যাদব মিলে দোলের গান চ্যালেঞ্জিং জায়গায় পৌঁছে দিলেন।
কিন্তু সানরাইজার্স দলের দুর্বল বোলিং চেন্নাই ব্যাটিং লাইনআপকে আটকাতে পারে কিনা সন্দেহ ছিল। শেষপর্যন্ত সেটাই হল। একমাত্র রশিদ খান ছাড়া চেন্নাই ব্যাটিংকে কেউ নাড়াতে পর্যন্ত পারল না। হাসতে হাসতে ৫ নম্বর জয় ছিনিয়ে নিল চেন্নাই। মহেন্দ্র সিং ধোনির এটাই শেষ আইপিএল। তিনি নিজে ফর্মে নেই ঠিক কথা, কিন্তু তাঁর দল এবার যে বিশেষ কিছু করে দেখাতে মরিয়া সেটা প্রতি ম্যাচেই প্রমাণ করছে সুপার কিংস ক্রিকেটাররা। গতবার আরবে সপ্তম স্থানে শেষ করেছিল চেন্নাই। ইতিহাসে প্রথমবার এত জঘন্য রেজাল্ট করেছিল চেন্নাই।
কিন্তু এবার বিরাট কিছু পরিবর্তন না করলেও নিলাম বুদ্ধি করে কাজে লাগিয়েছে হলুদ জার্সিধারীরা। প্রয়োজন মত দুর্বল জায়গাগুলোয় ক্রিকেটার নেওয়া হয়েছে। তাতেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে দক্ষিণের সিংহরা। আজ ঋতুরাজ গায়কোয়াড় প্রমাণ করলেন কেন তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সব মিলিয়ে পুরনো চেন্নাই যেন নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। পুরনো মদ নতুন বোতলে যেমন আর কী! চেন্নাই সর্মথকরা বলতেই পারেন 'হুইসেল ফোরু ' ।
Published by:Rohan Chowdhury
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।