চমকে দেওয়া আবিষ্কার প্রত্নতাত্ত্বিকদের, ইজিপ্টের মাটির তলায় মিলল বিশ্বের প্রাচীনতম বিয়ারের কারখানা

Last Updated:

একদল মিশরীয় ও মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিকের পরিচালিত খননকার্যে প্রাচীন মিশরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল থেকে পাওয়া গেছে বিশ্বের প্রাচীনতম বিয়ারের কারখানা

#কায়রো: প্রাচীন সময়ের মানুষরা কী ভাবে সময় কাটাতেন, এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তখন টিভি ছিল না, সিনেমাও নয়। না থাক, কিন্তু মদ্যপান করা যে বহু যুগ ধরে চলে আসছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের দেশেও এর প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকরা যে প্রমাণ দিয়েছেন, সেটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। একদল মিশরীয় ও মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিকের পরিচালিত খননকার্যে প্রাচীন মিশরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল থেকে পাওয়া গেছে বিশ্বের প্রাচীনতম বিয়ারের কারখানা। নীল নদের পশ্চিম দিকে যে মরুভুমি আছে, সেখানেই অবস্থিত মিশরের প্রাচীন শহর অ্যাবিডস। ইজিপ্টের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটিজের তরফ থেকে মোস্তফা ওয়াজিরি জানিয়েছেন যে কায়রোর দক্ষিণে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহর। এটি আসলে একটি সমাধিক্ষেত্র, যার নিচে উৎখনন করে এই বিয়ারের কারখানা পাওয়া গিয়েছে।
যাঁরা মিশর নিয়ে একটু-আধটু পড়াশোনা করেছেন, তাঁরা জানেন মিশরের দীর্ঘ ঐতিহাসিক পর্বকে বিভিন্ন রাজবংশের শাসনকাল অনুযায়ী ভাগ করা হয়। এই বিয়ারের কারখানা সম্ভবত রাজা নারমেরের আমলে তৈরি হয়েছিল। প্রথম ডায়নেস্টির সময়ে (৩১৫০ খ্রিস্টপূর্ব-২৬১৩ খ্রিস্টপূর্ব) ফারাও নারমের প্রাচীন মিশরকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছিলেন।
এই আবিষ্কার প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকদের চমকে দিয়েছে। কারণ বিয়ারের এই কারখানা নেহাত ছোট নয়। মোটামুটি ভাবে আটখানা ইউনিট পাওয়া গিয়েছে উৎখননের পরে। প্রত্যেক ইউনিট প্রায় ২০ মিটার লম্বা এবং ২.৫ মিটার চওড়া। এছাড়াও প্রত্যেক ইউনিটে পাওয়া গিয়েছে ৪০টা বেসিন জাতীয় পাত্র যা দু'টি পঙক্তিতে বিভক্ত ছিল। বোঝাই যাচ্ছে যে এই পাত্রগুলোতেই দানা শস্য ও জল মিশিয়ে সেটা গরম করে বিয়ার প্রস্তুত করা হত। পাত্রের সংখ্যা দিয়ে ইউনিটকে গুণ করলে যা দাঁড়াচ্ছে সেটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে এখানে বেশ ভালো পরিমাণেই বিয়ার উৎপন্ন হত।
advertisement
advertisement
ইতিহাসপ্রেমী থেকে রহস্যসন্ধানী, প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে একবার অন্তত মিশরের বিখ্যাত পিরামিড দেখার। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে নানা আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল মিশর। ২০১১ সালে গণ-অভ্যুদয়ের হাত ধরে অবসান হয় হোসনি মুবারকের (Hosni Mubarak) একনায়কতন্ত্রের। মূলত তখন থেকেই মিশরে পর্যটকদের সংখ্যা কমতে থাকে। মিশরের পর্যটন আরও বড় ধাক্কা খায় করোনার সময়s লকডাউনের জন্য।
advertisement
তবে হালফিলে একের পর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার এবং তার প্রচারে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এখানে আসতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এখন এই কারখানা আবিষ্কার হলেও এর অস্তিত্বের কথা অনেক আগেই ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা এই কারখানার লোকেশন খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হন!
বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
চমকে দেওয়া আবিষ্কার প্রত্নতাত্ত্বিকদের, ইজিপ্টের মাটির তলায় মিলল বিশ্বের প্রাচীনতম বিয়ারের কারখানা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement