#নিউজিল্যান্ড: ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে পড়তে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ডের পর্যটকদের। সেদিন ওই আইল্যান্ডে জেগে উঠেছিল ভলক্যানো। সেই আগুনে ঝলসে গিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যেই একজন স্টেফনি কোরাল। ওই দিন বাবা ও দিদির সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে ছিলেন তিনি। ভয়াবহ ভলক্যানোতে পুড়ে ছাই হয়ে যান অনেকেই। তার মধ্যে ছিলেন স্টেফনির দিদি ও বাবা। দু'জনেই মারা যান। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল স্টেফনির। ওই অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় স্টেফনিকে। সে সময় কোমায় ছিলেন তিনি। পরিবারে এক মাত্র সুস্থ ছিলেন তাঁর মা। সেদিন ওই দুর্ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না তাঁর মা।
বাবা ও দিদির মৃত্যুতে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন স্টেফনির মা। এক মাত্র বেঁচে ছিলেন স্টেফনি। তাও কোমায়। দু'সপ্তাহ পড়ে কোমা থেকে জেগে ওঠেন স্টেফনি। তিনি তখন জানেন না তাঁর সঙ্গে কি হয়েছে। সামনে বসে অঝোরে কাঁদছেন স্টেফনির মা। জানতে পারেন, ভলক্যানোতে ঝলসে গিয়েছে তাঁর শরীর। হাতের আঙুল থেকে মুখ কিছুই আর ঠিক নেই। মারা গিয়েছেন তাঁর বাবা ও দিদি। এ কথা শুনে ফের অবচেতন হয়ে পড়েন স্টেফনি। কিন্তু বার বার মায়ের মুখ ভেসে এসেছে তাঁর সামনে। মায়ের কাছে বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল এখন স্টেফনি। তাঁকে যেভাবেই হোক বেঁচে ফিরতে হবে। মায়ের জন্য। এই মনের জোড়েই স্টেফনি কঠিন লড়াই থেকে জিতে ফিরেছেন। দীর্ঘ চিকিৎসা চলে তাঁর।
View this post on Instagram
View this post on Instagram
কিন্তু হেরে যাননি স্টেফনি। মায়ের মুখ চেয়ে সব সহ্য করে নিয়েছেন। গোটা মুখ, হাত-পা সব কিছু ঢেকে রেখেছিলেন এতদিন। চলছিল প্লাস্টিক সার্জারিও। দু'বছর পর মুখের ওপর থেকে মাস্ক খুলে ফেললেন স্টেফনি। প্লাস্টিক সার্জারি শেষ। ফিরেছে মুখের অনেকটাই আগের আদলে। প্রথমবার নিজের মুখের সেলফি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগে ভেসেছেন এই মেয়ে। তবে এই গোটা সময়টা, চিকিৎসার পাশাপাশি, সব কিছুই করেছেন স্টেফনি। এখন তাঁর মায়ের সঙ্গেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান স্টেফনি। তাঁর সাহসিকতার প্রশংসায় মেতেছে গোটা দুনিয়া।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: New Zealand, Volcano