হোম /খবর /বিদেশ /
মাস্কেই সায়েস্তা মারণ ভাইরাস, করোনাভাইরাস ছুঁলেই জ্বলে উঠবে এই মাস্ক

Mask: মাস্কেই সায়েস্তা মারণ ভাইরাস, করোনাভাইরাস ছুঁলেই জ্বলে উঠবে এই মাস্ক

মাস্ক-এই চমক! আবিষ্কার হয়েছে এমন একটি মাস্ক যা করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে জ্বলে উঠবে!

  • Last Updated :
  • Share this:

#জাপান: গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুর দিকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল মারণ ভাইরাস করোনা! শুরু হয়েছিল মৃত্যু মিছিল! পরিস্থিতি যেই না একটু স্বাভাবিক হল, যেই-না মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করল, খুলতে লাগল স্কুল-কলেজ-বিশ্বাবিদ্যালয়, অমনি দাঁত-নোখ বের করে ফের একবার ঝাঁঝিয়ে উঠল করোনাভাইরাস! ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন! বাংলাতেও মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ।

করোনার হাত থেকে বাঁচার মূল অস্ত্র বারবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করা এবং অতি অবশ্যই মাস্ক পরে থাকা। একমাত্র সঠিক মাস্ক-ই কাবু করতে পারে ভাইরাসকে আর এবার সেই মাস্ক-এই চমক! আবিষ্কার হয়েছে এমন একটি মাস্ক যা করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে জ্বলে উঠবে!

জাপানের কিয়োটো পারফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কৃত এই মাস্কটি কীভাবে কাজ করে? জানা যায়, মাস্কের ভিতর রয়েছে একটি ফিল্টার। ৮ ঘণ্টা মাস্ক পরার পর ফিল্টারটা মাস্ক থেকে বের করে একটি বিশেষ কেমিক্যাল স্প্রে করতে হবে। ফিল্টারে যদি করোনাভাইরাস থাকে, তবে আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট বা অতিবেশুনি রশ্মির তলায় রাখলে ফিল্টারটি জ্বলে উঠবে। কাজেই, দিনের শেষে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে মোলাকাত হয়েছিল কি না! গবেষকরা মাস্কটিতে ব্যবহার করেছেন উটপাখির ডিমের অ্যান্টিবডি কারণ পাখিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।

কিয়োটো পারফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক Yasuhiro Tsukamoto এবং তাঁর গোটা দলের এই আবিষ্কার নিঃসন্দেহে করোনা মোকাবিলায় বিশাল ভূমিকা ধারণ করবে! সাধারণ মানুষ খুব সহজেই এবং সস্তায় বাড়িতেই করোনা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। উপসর্গ জটিল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, মানুষ দিনের শেষেই জানতে পারবেন, তিনি আদৌ করোনা সংক্রমিত কি না! খুব সহজেই করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব বোঝা সম্ভব হবে। কাজেই রোগ মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে! সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং সরকারি অনুমোদন মিললে ২০২২ সালেই বাজারে চলে আসবে করোনাভাইরাস অনুসন্ধানকারী এই বিশেষ মাস্ক।

Published by:Rukmini Mazumder
First published:

Tags: Mask