#পিয়ংইয়ং: ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে নিজের বন্ধু বলতেন। সিঙ্গাপুরে দুজনের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল কয়েক ঘণ্টার জন্য। একসঙ্গে ফটোসেশন থেকে ডিনার টেবিলে আলোচনা সবই হয়েছিল। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ গাড়ি বিস্ট দেখে প্রশংসা করেছিলেন কিম। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছিল উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শত্রুতা ভুলে বন্ধুত্বের পথে হাঁটতে চাই আমেরিকা। চিনকে চাপে রাখতেই উত্তর কোরিয়াকে পাশে পেতে মরিয়া ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প যুগের শেষ, বাইডেন যুগের শুরু হতে চলেছে। এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিম জং জানিয়ে দিলেন আমেরিকার সিংহাসনে যেই আসুক না কেন, উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু থাকবে আমেরিকাই।
তিনি মনে করেন, ওয়াশিংটনে যিনিই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসুন না কেন, পিয়ংইয়ং ইস্যুতে তাঁদের নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বিরল এক কংগ্রেসে তিনি বক্তব্য রেখে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের আহ্বান জানান। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।ওই বক্তব্যে কিম জং উন বলেন, একটি পারমাণবিক সাবমেরিনের পরিকল্পনা প্রায় শেষের পথে। তবে লক্ষ্য করার মত বিষয়,তিনি এমন সময় এসব মন্তব্য করলেন যখন আর কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে চলেছে।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছেন কিম জং উন- এমনটা মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার ছিল উষ্ণ সম্পর্ক। তবে তাতে মাঝেমধ্যেই খটমটা দেখা দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচিতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই।ইতিহাসের মধ্যে এটাই ছিল ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মাত্র অষ্টম কংগ্রেস অধিবেশন। সেখানে কিম জং উন বলেন, শত্রু বাহিনী যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা না করে তাহলে কোনও সময়ই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আগ্রহ নেই পিয়ংইয়ংয়ের।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের বিপ্লবের সবচেয়ে বড় বাধা হল যুক্তরাষ্ট্র। ওরা আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাঁরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নীতিতে কখনই কোনও পরিবর্তন আনবে না। ওদের বন্ধুত্ব নিজেদের স্বার্থের জন্য"। কিম মনে করেন স্বাধীন দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার নিজেদের স্বার্থে সব রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি নিম্নগামী। দ্রুত এ বিষয়ে উন্নতি করতে হবে জানিয়েছেন তিনি।