#নয়াদিল্লি: কারণটা কি নেহাতই জিনিসটা দুষ্প্রাপ্য বলে? ১৯০২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত খোঁড়াখুঁড়ি করে সাকুল্যে ৫০টা কঙ্কাল মোটে পাওয়া গিয়েছে বলে?
কিন্তু তাই যদি হবে, তা হলে তো একটা অতীতের ঘটনার কথা বলতে হয়! সত্যি বলতে কী, ডাইনোসরের হাড় তো আর এই প্রথম নিলামে উঠল না। নৃতত্ত্ব এবং সামাজিক আইনের দিক থেকে ধরলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ডাইনোসরের কঙ্কাল বিক্রির রেওয়াজ রয়েছে। অবশ্য শর্তও রয়েছে এ ক্ষেত্রে। যদি কোনও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমির তলায় এমন ডাইনোসরের হাড় পাওয়া যায়, একমাত্র তবেই তা বিক্রি করা যায় নিলামে তুলে।
কথা হল, সব শর্ত ঠিক রেখেই এর আগেও ডাইনোসরের কঙ্কাল নিলামে উঠেছে। সেটা ছিল ১৯৭৭ সাল। এই নিলাম ডেকেছিল সদবি। খবর মোতাবেকে সেখানে স্যু নাম-রাখা এক ডাইনোসরের কঙ্কাল বিক্রি হয়েছিল। যার দর উঠেছিল ৬১ কোটি ৬০ লক্ষ ৬০ হাজার ২০০ টাকা। অঙ্কটা মন্দ নয় ঠিকই, কিন্তু সম্প্রতি বিক্রি হওয়া ডাইনোসরের দরের ধারে-কাছেও আসে না। তা হলে?
স্পষ্ট কোনও হিসেবে আসা যাচ্ছে না বলেই রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন ক্রিস্টি নিলাম সংস্থার কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে যে নিউ ইয়র্কে এই নিলাম যখন শুরু হল, তখন প্রথম দুই মিনিটেই দর উঠেছিল ৬৬ কোটি ৫১ হাজার টাকা। পরের পনেরো মিনিটের মধ্যে মাত্র তিন জন ছাড়া আর কোনও খদ্দের নিলাম ডাকেননি। ততক্ষণে খুব স্বাভাবিক ভাবেই দরটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে কল্পনার বাইরে! শেষ পর্যন্ত ২৩৩ কোটি ২১ লক্ষ ২৬ হাজার ১৪০ টাকা দিয়ে এই ডাইনোসরের কঙ্কাল কিনলেন সৌভাগ্যবান বিজেতা!
খবর মোতাবেকে, স্ট্যান নামের এই টি-রেক্স বা টাইনোসরের কঙ্কালটি উচ্চতায় ৪ মিটার এবং প্রস্থে ৪০ ফুট। খুলি এবং ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মানে অন্য কোনও টাইনোসরের সঙ্গে মারামারি করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ দিয়েছিল হতভাগ্য!
খবর আরও বলছে, দক্ষিণ ডাকোটায় ৩০,০০০ ঘণ্টা খোঁড়াখুঁড়ির পরে নৃতাত্ত্বিক স্যান স্যাক্রিসন এর ১৮৮টি হাড় উদ্ধার করেন। তাই আবিষ্কারকের নামে এর পরিচিতি হয়েছে। শেষমেশ হাড়গুলো জোড়া দিয়ে একে তোলা হয়েছে নিলামে। তা হলে কি এ বার থেকে বলতে হবে মরা ডাইনোসর কোটি টাকা?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।