ইরানে শাসনব্যবস্থার বদল ইজরায়েলের লক্ষ্য নয়! সংঘাত যে দিকে যাচ্ছে, ফল কী হতে পারে? বললেন নেতানিয়াহু

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে ইরানের শাসনব্যবস্থার পতন ইজরায়েলিদের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য না হলেও শেষ পর্যন্ত চলমান সংঘাতের ফলাফল সেরকমই হতে পারে। ইজরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কানের সঙ্গে কথা বলার সময় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন যে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন ইরানি জনগণের ব্যাপার, ইজরায়েল সক্রিয়ভাবে এমন কোনও এজেন্ডা অনুসরণ করছে না। “শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন বা পতনের বিষয়টি প্রথম এবং সর্বাগ্রে ইরানি জনগণের ব্যাপার। এর কোনও বিকল্প নেই,” বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন।

তিনি আরও বলেন, “এজন্যই আমি এটিকে লক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করছি না। এটি একটি ফলাফল হতে পারে, কিন্তু এটি আমাদের কোনও ঘোষিত বা আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য নয়”। ইরানের সামরিক অবকাঠামোতে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই বিবৃতি এসেছে। ইজরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সারের বক্তব্যেও এরই প্রতিধ্বনি! তিনি বলেছেন যে ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন বর্তমানে ইজরায়েলি সরকারের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য নয়, তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আপাতত এই ধরনের নীতি গ্রহণ করেনি।

ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন খামেইনিকে ‘আর থাকতে দেওয়া যাবে না’ যদিও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইজরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি স্পষ্টই ঘোষণা করেছেন যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ‘আর থাকতে দেওয়া যাবে না’! তেল আবিবের কাছে একটি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনাকারী আয়াতুল্লাহ খামেইনিকে সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন তিনি, বলেছেন যে ইজরায়েল ‘ইরানি নেতাকে নির্মূল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে’।

তিনি এই আক্রমণকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেন এবং ঘোষণা করেন যে তিনি এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু উভয়েই আইডিএফকে ‘ইরানের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু এবং তেহরানের সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ‘আয়াতুল্লাহর শাসনকে দুর্বল করা যায়’।

তেহরানের উপর সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হামলার খবর উড়িয়ে দিয়ে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এটিকে ইজরায়েলের হতাশার লক্ষণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ওয়াশিংটন এবং তেল আবিব উভয়কেই লক্ষ্য করে এক স্পষ্ট মন্তব্যে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কেবল ইজরায়েলের কৌশলগত ব্যর্থতাই প্রকাশ করছে।

“ইহুদিবাদী সরকারের আমেরিকান বন্ধুরা যে দৃশ্যপটে প্রবেশ করেছে এবং এই ধরনের কথা বলছে, তা ওই সরকারের দুর্বলতা এবং অক্ষমতার লক্ষণ,” বলেন আয়াতুল্লাহ খামেইনি।