#করাচি: লাহোর থেকে করাচিগামী পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের বিমানের যাত্রাপথে কোনও সমস্যাই হয়নি ৷ কিন্তু সমস্যা দেখা যায় অবতরণের সময়েই ৷ ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগেই বিমানের পাইলট জানান, দুটি ইঞ্জিনই কাজ করছে না ৷ করাচি এটিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয় যে দুটি রানওয়ে ফাঁকা আছে ৷ ব্যস তারপরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৷ ৯১ জন যাত্রী এবং ৮ জন বিমানকর্মীদের নিয়ে করাচি বিমানবন্দরের খুব কাছেই একটি জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ওই বিমান ৷
দুর্ঘটনায় বাকিদের মৃত্যু হলেও অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দু’জন যাত্রী ৷ PIA-র PK-8303 অভিশপ্ত বিমানটিতে ছিলেন মহম্মদ জুবের নামের একজন যাত্রী ৷ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে তিনিও একজন ৷ বিমানটি ভেঙে পড়ার পর কোনও কিছু ঠিকঠাক বুঝে ওঠার আগেই বিমানের ভিতর থেকে লাফ দেন তিনি ৷ হাসপাতালের বেডে শুয়েই জুবের জানান, ‘‘ বিমান ভেঙে পড়ার পর প্রচণ্ড ধাক্কাতেই যেন জ্ঞান ফিরে এল আমার। দেখলাম, চারদিকে আগুন, আর্তনাদ। সবাই তো বাঁচতে চাইছিল। সিটবেল্ট খুলে এগোতে এগোতে একটা জায়গায় আলো দেখলাম। তারপরেই লাফ দিয়ে বেরিয়ে এলাম বাইরে। প্রায় ১০ ফুট উপর থেকে লাফ দিয়েছিলাম ৷ ’’