#মস্কো: করোনার চতুর্থ ঢেউ কি আছড়ে পড়ল রাশিয়ায়? সন্দেহটা উস্কে দিল এক দিনে রাশিয়ায় সংক্রমণে মৃ্ত্যুর হার (Covid death in Russia)। হ্যাঁ, রেকর্ড বলছে করোনা শুরু হওয়ার দিন থেকে, অর্থাৎ গত দেড় বছরের নিরিখে রাশিয়ায় এই প্রথম একদিনে এত কোভিডে মৃত্যু হলো। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় রাশিয়ার মৃত্যু হয়েছে ৮৫২ জন। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছিল। সেদিন রাশিয়ার মৃত্যু হয় ৮২৮ জনের। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, ঘাতক ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এই মৃত্যু।
এখনও পর্যন্ত রাশিয়ায় করোনার কারণে মৃত্যু ((Covid death in Russia) হয়েছে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষের। বিশ্বের নিরিখে রাশিয়ায় মৃত্যুর হার পঞ্চম। ইউরোপের নিরিখে রাশিয়াতেই সবথেকে বেশি মানুষ কোভিডের কারণে মারা গিয়েছেন।
কিন্তু দুশ্চিন্তা অতীতের থেকেও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে এভাবে হুহু করে সংক্রমণে মৃত্যুর হার (Covid death in Russia) বাড়ায়। এমনকি অনেকে আলোচনা করছেন এটি রাশিয়ায় করোনার চতুর্থ ধাক্কা বা ফোর্থ ওয়েভ।
সম্প্রতি রাশিয়ায় স্কুল কলেজ খুলেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা আবার বিদ্যায়তনমুখী হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে এমন পরিসংখ্যান রাশিয়া সরকারকে চাপে ফেলছে। যদিও স্কুল কলেজ বন্ধের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাশিয়ান সরকার।
মঙ্গলবারই রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২১ হাজার জন। প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা মনে করছিলেন, সেপ্টেম্বর মাসে সংক্রমনের গড় ১৮ হাজারের মধ্যে বেঁধে ফেলা যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ সেই ভাবনার চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে।
আরও পড়ুন-উৎসবের ভিড়েই কোভিডের আশঙ্কা, পুজোর মুখে ফের গাইডলাইন জারি কেন্দ্রের
এই আবহে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় মাস্ক বিধি আরও জোরদার করা হচ্ছে। মস্কের ডেপুটি মেয়র বলছেন, ঘাতক ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এই মৃত্যু মিছিল। এদিকে পুতিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর সহকর্মীদের মধ্যেও অনেকে করোনা আক্রান্ত। সব মিলিয়ে রাশিয়ার পরিস্থিতি তাই রীতিমতো জটিল।
উল্লেখ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের তুলনায় রাশিয়ায় টিকাকরণের হার কম। এখনও পর্যন্ত ২৮ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি ভ্যাকসিন পেয়েছেন এবং ৩২ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ পেয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID19